আরও পড়ুন: বিরাটের সঙ্গে গম্ভীরের তুমুল অশান্তি! অবশেষে জানা গেল আসল কারণ, কী চাইছেন ভারতের কোচ
এই জালিয়াতির বিষয়টি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এই জেলার পূর্বস্থলীর শিঙারি গ্রামে। এই গ্রামের একশোর কাছাকাছি দলিল অন্যের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। জমির আসল মালিকরা তা জানতেও পারেননি। প্রথমে দু-এক জনের নজরে আসে। তাদের কাছ থেকে শুনে জমির রেকর্ড খতিয়ে দেখতে গিয়ে মাথায় হাত অনেকেরই। পূর্ব পুরুষদের যে ভিটেয় বাড়ি করে বাস করছেন তার মালিক নাকি অন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দল থেকে বাদ দুই তারকা! কারা সুযোগ পাবেন?
গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, কুড়ি পঁচিশ জনের একটি চক্র জমির এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকার কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রশাসনের কিছু অসাধু আধিকারিকের যোগ সাজশে এই জমি মাফিয়ারা আসল মালিকদের কোনও কিছু বুঝতে না দিয়ে জমি অন্য লোককে বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদের হাতে আসল সরকারি নথীও তুলে দেওয়া হচ্ছে। কি করে তাঁর অগোচরে জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গেল তা জানতে চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। কিন্তু এখনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।
শুধু পূর্বস্থলী নয়, ভাতার, মেমারি, মন্তেশ্বর-সহ অনেক ব্লকেই এই জমি মাফিয়ারা সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের দাপট এতোটাই বেশি যে অনেক সময় সাধারণ বাসিন্দারা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছেন না। অনেকে জমির ন্যায্য মালিকানা ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, “এমন বিষয় কখনোই বরদাস্ত করা হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে সরকারি কোনও কর্মী বা অফিসার জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্হা নেওয়া হবে”।
