গতকাল সন্ধ্য়ায় রামপুরহাটে সিবিআই ক্য়াম্প অফিস থেকে বগটুই কাণ্ডে অন্য়তম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, শৌচাগারে গিয়ে আত্মঘাতী হন লালন। লালনের মৃত্য়ুর খবর জানার পরই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে তাঁকে পিটিয়ে খুন করার চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। লালনের মা, স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্য়দের দাবি, গতকাল তদন্তের কাজে লালনকে বগটুই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। লালনের মা অভিযোগ করেন, 'ছেলেটাকে এত মেরেছে যে ও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না।'
advertisement
আরও পড়ুন: 'মর্নিং ওয়াকে গিয়ে বিবৃতি দিই না', দিলীপকেই খোঁচা শুভেন্দুর? অস্বস্তিতে বিজেপি
এ বছরের ২১ মার্চ বগটুই হত্য়াকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্য়তম মূল অভিযুক্ত ছিলেন ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ লালন। বগটুই কাণ্ডের পর থেকেই ফেরার ছিল লালন। গত ৩ ডিসেন্বর লালনকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথমে তাঁকে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: লালন মৃত্য়ুতে চাপে সিবিআই, শুরু বিভাগীয় তদন্ত! দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব
এর পরে গত ১০ ডিসেম্বর ফের লালনকে দ্বিতীয়বারের জন্য় ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রামপুরহাটে পূর্ত দফতরের অস্থায়ী ক্য়াম্প পান্থশ্রীতে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পে রাখা হয়েছিল লালন শেখকে। সেখানে সিআরপিএফ-এর নজালরদারিতে রাখা হয় লালনকে। ওই ক্য়াম্প অফিসের শৌচাগার থেকেই সোমবার লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই-ও।
আজই রামপুরহাট হাসপাতালে লালন শেখের দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্য়ুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব। ময়নাতদন্তের জন্য় বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে রামপুরহাটে এসেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য় বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
অন্য়দিকে লালন শেখের রহস্য়মৃত্য়ুর ঘটনায় তৎপর হয়েছে রাজ্য়ের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি-ও। লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের থেকে বিস্তারিত তথ্য় সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন সিআইডি আধিকারিকরাও। ময়নাতদন্তের সময়ও সিআইডি-র চার জন আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন বলে খবর।