এর পর থাকতে শুরু করেন যোগিবেড় গ্রামে৷ সে সময়েই ঠিক করেন সংসারের হাল ধরতে স্বামীর পাশে দাঁড়াবেন৷ তাঁর ইচ্ছায় বাধা হয়ে দাঁড়াননি তাঁরক স্বামী৷ তবে তার পরও পাঁচ কন্যা এবং এক ছেলের মায়ের জীবন মসৃণযাত্রা ছিল না৷
advertisement
অল্প বয়স থেকেই তিনি বাজারে সব্জি ফিরি করতে বসেন৷ তার মধ্যেই সংসারে বিপর্যয়৷ ছেলের বয়স যখন মাত্র সাত বছর, তিনি স্বামীকে হারান৷ লড়াই আরও মজবুত হয় এর পর ৷ আজ, তাঁর ছেলের গৌরের চায়ের দোকান আছে কোলাঘাট বাজারে৷ প্রতি সপ্তাহের নির্ধারিত দুই দিনে তিনি ভোর তিনটের সময় বাজারে পৌঁছন ছেলের সাইকেলে৷ তার পর স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকে আনাজপাতি ও দানাশস্য কিনে শুরু হয় তাঁর দোকান৷ চলে দুপুর পর্যন্ত৷
বয়সের ভারে কমেছে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি৷ কিন্তু তাঁর জীবম সংগ্রাম থেমে যায়নি৷ শতবর্ষীয়া এই বৃদ্ধা আজ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস৷ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বোঝা হয়ে থাকতে চান না৷ বরং হতে চান আলোর ঠিকানা৷