লক্ষ্মীপুজোর দিন সকাল থেকেই প্রতিমার দোকানগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিমা বিক্রেতারা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরের প্রতিমা বাজারে গিয়ে দেখা গেল এই ছবি। সকাল থেকেই প্রতিমার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দোকানগুলিতে দাঁড়িয়ে অনেকে নিজেদের পছন্দের ঠাকুর বেছে নিচ্ছেন। এবার কাঁথির বাজারে বড় মাপের প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকায়। ছোট প্রতিমা ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে সহজেই মিলছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মাঝারি মাপের প্রতিমা। মূল্য ৪৫০-৫০০ টাকার মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীলাভের আশায় জল! বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুর্ভোগ কৃষকদের, ঝাড়গ্রামে কী হল দেখুন
প্রতিমাশিল্পী চঞ্চল কামিল্যার কথায়, বৃষ্টি না হলে এই ভিড় আরও আগেই শুরু হতো। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে অনেকেই বাইরে বেরোতে পারেননি। ফলে রবিবার পর্যন্ত বিক্রি একেবারেই জমেনি।
অনেকের মনে আতঙ্ক ছিল, এবার হয়তো বড়সড় ক্ষতির মুখ দেখতে হবে। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে ছবি একেবারে পাল্টে গেল। প্রতিমার দোকানে একের পর এক ঠাকুর বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি প্রায় শেষের মুখে। শিল্পীরা ভাবছিলেন, এবার হয়তো সব শেষ! প্রতিমা পড়েই থাকবে, বৃষ্টির মধ্যে আর বিক্রি হবে না। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর দিন দেদার বিক্রি দেখে প্রতিমাশিল্পীদের মনে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ সরে গিয়ে নীল আকাশ দেখা দিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শেষ মুহূর্তের এই জমজমাট বিক্রি প্রতিমাশিল্পীদের মনে স্বস্তির হাসি এনে দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে তাঁদের চোখেমুখে আতঙ্ক ভর করেছিল, এখন তা সরে গিয়েছে। উপচে পড়া ভিড় দেখে শিল্পীদের মনে জেগেছে নতুন আশা। প্রতিমা বিক্রির টাকায় সংসার চলবে, সন্তানদের পড়াশোনার খরচ মিটবে, ঘুচবে ধারদেনার বোঝা। তাই প্রতিমা বিক্রি তাঁদের কাছে কেবল ব্যবসা নয়, জীবনের ভরসা। দুশ্চিন্তার অন্ধকার সরিয়ে এবার তাঁদের মুখে ঝলমল করছে খুশির আলো।