সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন এক সময় পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর বিরুদ্ধে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম।
advertisement
কিন্তু, বিজেপিতেও বেশিদিন থাকেননি৷ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরেই পদ্মশিবির ছাড়েন প্রাক্তন এই বাম নেতা৷ তারপরে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি৷ বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদে রয়েছেন৷
গত সপ্তাহেই সেরেছেন বিয়ে৷ জার্সি বদলে দীর্ঘ বিরতির পরে আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের দেখা গেল রাজনীতির ময়দানে৷ অন্য কোথাও নয়, নন্দীগ্রামে পা রাখলেন তিনি৷ যে নন্দীগ্রাম ছেড়ে একসময়ে তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল?
জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এক সময়ের এই নন্দীগ্রাম থেকেই এক সময় ‘বিতাড়িত’ হতে হয়েছিল তৎকালীন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে। মূলত, নন্দীগ্রাম কাণ্ডের সব দায় লক্ষ্মণ শেঠের কাঁধে রেখে তাঁকেই ‘দায়ী’ ঠাওরানো হয়৷ একসময় তাঁর নন্দীগ্রামে ঢোকাও বন্ধ হয়ে যায়।
সেই লক্ষ্মণ শেঠ এখন কংগ্রেসের রাজ্য নেতা। দীর্ঘদিন পর সেই লক্ষ্মণ শেঠই আবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এলেন নন্দীগ্রামে। আর সেই নন্দীগ্রামে বসেই আবার শোনালেন দিন বদলের গল্প। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আমাকে খলনায়কে পরিণত করিছিলেন। তৃণমূল, বিজেপি, এই দলগুলি আমাকে ভিলেন বানাল, কিন্ত তাতে কি নন্দীগ্রামের লাভ হয়েছে? আবার সুযোগ আসবে, নন্দীগ্রাম হবে দ্বিতীয় হলদিয়া নগরী, হবে শিল্পনগরী। এই স্বপ্ন আমার শেষ হবে না। আমি মারা গেলেও অন্য কেউ এসে করবে শিল্পনগরী।’’