বালিখাদানের দখলদারি নিয়ে রেষারেষি। গ্রামে তৈরি হয়েছিল বারুদের স্তূপ। শুক্রবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কার্যত আগুন জ্বলে ওঠে লাভপুরের দাঁড়কা গ্রাম পঞ্চায়েতের দরবারপুরে। মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। আতঙ্কের এই ছবি বদলে দিয়েছে গ্রামের চেহারা।
থমথমে। পুরুষশূন্য। ছেলে-মেয়ে নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন অনেক মহিলাও। দু-চোখে এখনও আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর কথা ভাবতেই পারছেন না কেউ। আর তাই দরবারপুর গ্রামের একমাত্র প্রাইমারি স্কুলে সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল পঠনপাঠন।
advertisement
প্রাইমারি থেকে ক্লাস ফোর। শিক্ষক সংখ্যা আট। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে এসেছেন পাঁচজন। কিন্তু দেখা নেই একজন ছাত্রছাত্রীরও । তবু মিড মেল মিলের রান্না হয়েছে। অপেক্ষায় থেকেছেন শিক্ষকরা। যদিও জানেন, আতঙ্কের আবহে পড়াশোনার চিন্তা বৃথা।
অনেক দূর থেকে জঙ্গল পেরিয়ে পড়াতে আসতে হয়। ভয় হয়। তবু এসেছেন। কিন্তু দিনভর অপেক্ষার পর হতাশ শিক্ষক কার্তিক সোরেন।
সামনেই পরীক্ষা। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক। সেখানেই স্কুলের পঠনপাঠনের ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত। শুক্রবার বোমাবাজির পর থেকে বন্ধ দাঁড়কা উচ্চবিদ্যালয়। সেখানে এখন পুলিশ ক্যাম্প। এবার ছাত্রের অভাবে বন্ধ হওয়ার মুখে গ্রামের একমাত্র প্রাইমারি স্কুলটিও। কবে ভয় কাটিয়ে ছেলেমেয়েরা স্কুলমুখো হবে সেই আশায় এখন খবরের কাগজ পড়েই সময় কাটছে শিক্ষকদের।