বিষ্ণুপুর শহরের এক অন্যতম জায়গা হল লালবাঁধ, বিষ্ণুপুর শহরের রামানন্দ কলেজের ঠিক পিছনেই রয়েছে এই বিশাল বড় জলাশয়টি।
সূর্যাস্তের সময় লালবাঁধে অপূর্ব রূপ
এখানেই রয়েছে নৌকা বিহারের সুবিধা, আর এই নৌকা বিহারের টানেই ভিড় জমাচ্ছে বিষ্ণুপুর শহরের মানুষ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনেরাও! বিকাল হলেই ছেলেমেয়েরা ভিড় জমায় এখানে!
advertisement
সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নৌকা বিহারের সুবিধা রয়েছে, তবে রাত্রি দশটা পর্যন্ত এই এলাকা একেবারে মেলায় পরিণত হয়। এই লাল বাঁধের পাড় ব্যারিকেট দিয়ে ঘেরা। গল্প করার জন্য বেশ কিছু টিনের শেড করা রয়েছে।
পুরো রাস্তা সারি সারি ভাবে লাইটে মোড়া, বসার জন্য প্রচুর চেয়ার রয়েছে। এছাড়াও এই লালবাঁধের রাস্তার ধারে বিভিন্ন রকমের দোকানদানি ও রয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ মনোরম পরিবেশ। এই পরিবেশ ও নৌকাবিহার উপভোগ করার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ।
নীলকান্ত প্রামানিক জানান বিষ্ণুপুর পৌরসভার থেকে মল্লভূম ফিস প্রোডাকশন গ্রুপ এই লাল বাঁধটিকে কয়েক বছরের জন্য লিজে নিয়েছেন। পর্যটন মরশুমে বিদেশ থেকে বহু পর্যটকরা এই লাল বাঁধে ঘুরতে আসেন এবং বিকাল হলেই বিষ্ণুপুর পৌর শহরের বহু মানুষও এই লালবাঁধের নৌকা বিহার ও এই পরিবেশ উপভোগ করতে আসেন! আগে বিষ্ণুপুরের মানুষকে নৌকা বিহারের জন্য মুকুটমণিপুর, মাইথন বা বিভিন্ন দূর-দূরান্ত যেতে হত। তবে এখন এই বিশেষ সুবিধার জন্য খুশি শহরের মানুষ!
Aniket Bauri