তফশিলি উপজাতি হিসেবে কুর্মিদের অন্তর্ভুক্তি সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে পাঁচ দিন ধরে পুরুলিয়ার কুস্তাউর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে রেল অবরোধ চালাচ্ছেন কুর্মিরা৷ যার ফলে দক্ষিণ পূর্ব শাখার খড়্গপুর- টাটা ডিভিশনে রেল চলাচল কার্যত বিচ্ছিন্ন৷ ওই রুট দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলিকে হয় বাতিল করতে হচ্ছে, নাহলে ঘুরপথে চালাতে হচ্ছে৷ ফলে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার রেল যাত্রী৷ জরুরি প্রয়োজনে ভিন রাজ্যে যেতে হলেও উপায় নেই যাত্রীদের৷ অনেকে স্টেশনেই আটকে রয়েছেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: শনিবারই বাইপাসে প্রথম বার ছুটবে মেট্রো, দু' মাসেই শুরু হতে পারে যাত্রী পরিষেবা
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, অবরোধের জেরে আজও রাঁচি- খড়্গপুর এক্সপ্রে, ধানবাদ-টাটানগর-ধানবাদ এক্সপ্রেস, টাটানগর-হাওড়া- টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বারবিল-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিতলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস, হাতিয়া- খড়্গপুর এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে৷ ঘুরপথে চলছে পোরবন্দর- শালিমার এক্সপ্রেস, জগদলপুর- হাওড়া এক্সপ্রেস, রাঁচি-হাওড়া-রাঁচি এক্সপ্রেস, আহমেদাবাদ- হাওড়া এক্সপ্রেসের মতো সাতটি ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে৷
সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া-সাঁতরাগাছি, পুরুলিয়া-হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-হাতিয়া-খড়্গপুরের মতো ট্রেনগুলি আদ্রা পর্যন্ত গিয়ে ফিরতি পথে রওনা দেবে৷
বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ যে সড়ক পথ ব্যবহার করবেন, তারও উপায় নেই৷ কারণ পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে জাতীয় সড়কেও অবরোধ চলছে৷ ফলে সড়ক পথে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড, বিহার,মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির সঙ্গে সড়ক পথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পণ্য পরিবহণ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে৷
আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারি তরফে তাঁদের যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তাতে খুশি নন তাঁরা৷ ফলে এখনই অবরোধ তোলা সম্ভব নয়৷ অবরোধ কবে উঠবে তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ ফলে সাধারণ মানুষের যে হয়রানি পাঁচ দিন ধরে চলছে, তা কবে শেষ হবে, বলার মতো জায়গায় নেই কেউই৷