দলের কর্মসূচিতে বামেদের স্লোগান উঠছে দেখে স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখন জানা যায় আসল কারণ। ২০২১ সালের রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাম নেতা সুধাংশু আদক যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন তাঁর একাধিক অনুগামী। আর সুধাংশুর অনুরাগীরাই কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে লাল সেলাম স্লোগান দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এবারের পঞ্চায়েত ভোট 'ডু অর ডাই'-এর লড়াই... বড়জোড়ার সভায় মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর
কেন দিলেন এই স্লোগান? উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, আসলে দীর্ঘদিন তাঁর অনুগামীরা এই স্লোগানে অভ্যস্ত ছিলেন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের মুখ দিয়ে এই স্লোগান বেরিয়ে এসেছিল। যদিও সম্বিত ফিরতেই সেই স্লোগান বন্ধ করে তাঁরা বর্তমান দলের স্লোগান দেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষ এক বাম নেতার কথা মনে করিয়ে বলেছেন, ''উনি জানলে খুব খুশি হতেন৷''
প্রসঙ্গত বুধবার পাঁশকুড়ার গোবিন্দনগর অঞ্চলের মহাপুর, বিজাহারপুর, রাজনগর স্কুল, গোবিন্দনগরে যান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাতে পাঁশকুড়ার মঙ্গলদাঁড়ির বাসিন্দা সুদর্শন মান্নার বাড়িতে রাত্রিবাস করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই দফায় দফায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন কুণাল। রাতে সুদর্শন মান্নার বাড়িতেই সারেন নৈশভোজ। মেনুতে ছিল রুটি, তরকা এবং মাংস। মাংস রান্না করেন পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হানিফ মহম্মদ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগে বিশেষ জোর তৃণমূলের। আর সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যের শাসকদলের নয়া কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’রা। অভাব অভিযোগের কথা জনপ্রতিনিধিদের বলার সুযোগ পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।