তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের পূর্ব মেদিনীপুরের এই দায়িত্ব প্রসঙ্গে কুণাল এদিন বলেন, 'আমি এটাকে নতুন দায়িত্ব হিসাবে দেখছি না। আমাকে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছেন এই বিষয়ে। হলদিয়াকে কেন্দ্র করে দেখতে বলেছেন, আর আমি একজন সৈনিক হিসাবে তা দেখব, দায়িত্ব পালন করব। আমি সাধ্যমতো সাহায্য করব। আমাকে সময় দিতে হবে। থাকার জন্য জায়গা দিতে হবে। তাই আজ অফিস নেওয়া হল। জেলার সব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এসেছেন।"
advertisement
আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে কোণঠাসা করতে কুণালে ভরসা, অধিকারী গড়ে বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী গড় সংক্রান্ত প্রশ্নে মঙ্গলবার কাঁথিতে বসে কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমি কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে আসিনি। ও আমার গড়পাড়ে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকলে। আমার এখানে থাকায় কী দোষ? জানি তো জানি কোন ওষুধে ওর গা চিড়বিড় করে। আমি এখানে আসলে ওর গায়ে জ্বালা ধরে কেন? আমরা সবাই মিলে টক্কর দিচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস এখন জনসমুদ্রের নামে। মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা মানবে না। নন্দীগ্রামে কারচুপি করে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মামলা এদিক ওদিক করতে চাইলেন। নন্দীগ্রামে মানুষ ওনাদের বিপক্ষে। শুভেন্দুর মতো ডাকাতদের জিন্দাবাদ ঘোষণা করতে হয়। কয়েক মিনিটে দেখুন কী কী ঘোষণা আসে। আপনাদের যা যা অভিযোগ তা অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড-এর বিরুদ্ধে৷ আদি বিজেপি বিদ্রোহ করছে। নন্দীগ্রাম শুভেন্দুকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্বাসঘাতকদের মানবে না। সব জায়গায় আমাদের কর্মীরা উজ্জীবিত। তারা উৎসাহ নিয়ে দেওয়াল লিখছেন৷ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়াল লিখেছেন।"
আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের মাঝেই বিএড পড়ার চাহিদা তুঙ্গে রাজ্যে! রেকর্ড আসন পূরণ
শুভেন্দুর দুয়ারে সরকার কটাক্ষ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, "দুয়ারে সরকার তৃণমূলের। দুয়ারে বেইমান হল শুভেন্দুর। উনি আগে ট্যুইট করে জানান, ওনার পরিবার কী কী সুবিধা পেয়েছে। শুভেন্দুর পৈতৃক সম্পত্তি নয়৷ কেন্দ্রের টাকা আবার কী? ওটা রাজ্য থেকে রেভিনিউ কালেকশন করা। বাংলাকে টাকা না দিলে, বাংলার মানুষকে করমুক্ত ঘোষণা করো। ও শুভেন্দু এটা কি তোমার বাবার টাকা?" দ্বর্থহীন ভাষায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, আমি সাধু-চলিত দুটো ভাষাই জানি৷ ও যে ভাষা প্রয়োগ করে, সেই ভাষায় আমিও উত্তর দিতে জানি। শুভেন্দু তো ওর বাবাকে হিংসা করে৷ ও বাবার শপথ বয়কট করেছিল। ওর কোনও তালজ্ঞান আছে নাকি? শুভেন্দু অধিকারী মানসিক বিকারগস্ত ও দেউলিয়া। এই শুভেন্দু বলত 'সিএএ, এন আর সি হতে দেব না। কীসের সিএএ?' সেতু বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরাতে এই সব বলে চলেছে। আপনার কাছে যা নথি আছে, তা মোদির কাছেও আছে। আপনি ভোট দিয়েছেন। এরা বিভ্রান্ত করছেন। এরা নজর ঘোরাতে চাইছেন।"
রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিজেপির দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, "যদি এই রাজ্যে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট না হয়, তাহলে সবকটা রাজ্যে তা করতে হবে। বাংলায় এক আর ত্রিপুরায় অন্য নিয়ম এটা হয় না। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে গো-হারা হেরেছেন। আগে উনি সায়ন্তনের চিঠি পড়ুন। আগে ঘর সামলা, পরে ভাববি বাংলা।"
সিএএ প্রসঙ্গে আরও বলেন, "মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এরা মিটিং করে না৷ এরা সিএএ নিয়ে মিটিং করে। নাগরিকদের আবার নাগরিকত্ব কী? বেঁচে থাকার জায়গা থেকে নজর ঘোরাচ্ছেন। মোদি ২০১৬ সালে নির্মীয়মাণ সেতু ভাঙা নিয়ে যা বলেছিলেন। ঈশ্বর আপনাকে অভিশাপ দিল। বাংলায় যা যা বলেছিলেন তা এবার বলুন?"