প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার পর এই সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জয় না পেলেও নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মুখ্য়মন্ত্রী রক্ষা করছেন বলে দাবি করেছেন কুণাল।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য আসলে লোকসভা, ফেব্রুয়ারিতেই বড় পরিকল্পনা বিজেপির! বঙ্গে রথযাত্রা
advertisement
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘোষণা নন্দীগ্রাম সহ সংলগ্ন এলাকার কথা মাথায় রাখলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ নন্দীগ্রামের বিধায়ক রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বিজেপি-র প্রভাবও যথেষ্ট। যে কোনও মূল্য়ে ওই অঞ্চলে নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৃণমূল। বিশেষত পঞ্চায়েত ভোট এবং তার পরে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্য়ে কুণালকে বিশেষ দায়িত্বও দিয়েছে দল।
তৃণমূল মুখপাত্র এ দিন বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটের সময় বলেছিলেন নন্দীগ্রামে তিনি বহু কাজ করবেন। এবার হলদিয়া-নন্দীগ্রাম সেতু রাজ্য তৈরি করবে। এটা ঘোষণা করা হল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ বর্তমানে নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়ার মধ্য়ে যাতায়াত খুবই কষ্টকর। দীর্ঘদিনের দাবি ও চাহিদা ছিল৷ মুখ্য়মন্ত্রী নন্দীগ্রাম-হলদিয়ায় বহু প্রতীক্ষিত সেতু উপহার দিতে চলেছেন। ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু হল। বহুদিন ধরেই এই সেতু চাইছিলেন সেখানের মানুষ৷ বিপুল রাস্তা ঘুরতে হত৷ জলযানের উপর নির্ভরশীল হতে হয়৷ এবার সেতু হলে মানচিত্র বদলে যাবে। অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে৷ আগামিকাল, ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে শহিদ বেদীতে অনুষ্ঠান হবে। তার আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ভোটের সময় তিনি যা বলেছিলেন সেটা করে দেওয়া হচ্ছে।'
গত রাজ্য বাজেটে এই সেতুর বিষয়ে উল্লেখ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সেতুর কাজ অবশেষে ডিপিআর তৈরির মাধ্যমে শুরু হল।
বাম জমানায় হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের সম্প্রসারণ এবং নন্দীগ্রামের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য হলদি নদীতে একটি সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সে সময় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান লক্ষ্ণণ শেঠ এতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ২০০৫ সালের ওই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অবশ্য হয়নি।
