কুলতলিতে বাঘের পায়ের ছাপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একেবারে লোকালয় সংলগ্ন মাতলা নদীর চরে জঙ্গলের ঠিক কাছেই বৃহস্পতিবার সকালে দুই মহিলা মৎস্যজীবী কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আচমকা বাঘ দেখতে পেয়ে প্রাণের ভয়ে চিৎকার শুরু করেন। যদিও পরে বাঘের হদিশ মেলেনি। আশপাশের এলাকায় স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও সেই সময় কাঁকড়া শিকার করছিলেন। চিৎকার শুনে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই মহিলাকে উদ্ধার করেন ও নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। ঘটনাটি ঘটে কুলতলির গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের গায়েনের চক এলাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন: দুই মহিলা কাজে ব্যস্ত, সামনে তখন সাক্ষাৎ 'যম'! আতঙ্কে মুড়ল কুলতলি
গ্রামবাসীরা আতঙ্কে লাঠি, নৌকার বৈঠা নিয়ে টহলে বের হন। সঙ্গে কুলতলি থানার পুলিশও যায়। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। পিয়ালি বিটের রেঞ্জার-সহ বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পায়ের ছাপ পরীক্ষা করেন। বিকেলের পর ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় সহ-আধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী। কুলতলি চিতুরি বিট অফিস থেকে জাল পাঠানো হয় এলাকায়। জাল দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। আগুন জ্বালিয়ে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন গ্রামবাসীরা। বনদফতরের কর্মীরা কড়া নজরদারি শুরু করেছেন। লোকালয়ে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি, ৬-৭টি জেনারেটর বসিয়ে আলো দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে এলাকা। এলাকায় মাইকিং করে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করছেন বনদফতরের কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক মিলন মণ্ডল বলেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বড় খবর! ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাকি ১১১ পুরসভার ভোট! দুই দফায় ভোটের সিদ্ধান্ত কমিশনের...
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই মৈপীঠ উপকূল থানার গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের চারশো বিঘা ও নস্করের ঘেরি এলাকায় ধানক্ষেতে হানা দিয়েছিল বাঘ। তারপরেই আবার বাঘের পায়ের ছাপে কুলতলিতে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। মাতলা নদী সংলগ্ন গায়েনের চক, ধরাবাগদা, গরানকাঠি, রামপুর লোকালয় রয়েছে। গায়েনের চক এলাকার মৎস্যজীবী বঙ্কিম নস্কর বলেন, এদিন আমরা সকালে নদীর চরে কাঁকড়া শিকার করছিলাম। আচমকা দেখি দুই মহিলা মৎস্যজীবী উর্মিলা হালদার, মীনা নস্কর গায়েন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছেন। তাঁরাও কাঁকড়া শিকার করছিল। তারপর তাঁদের কাছে গিয়ে সব শুনে তাঁদের উদ্ধার করি। তারপর দেখি নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ। পর পর বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে তাতে নদীর পাড়ে এলাকায় ভয় নিয়ে বাস করতে হচ্ছে সব সময়।