এলাকাবাসীদের দাবি, জঙ্গল লাগোয়া লোকালয় হওয়ার কারণে প্রায়ই সময় নদী সাঁতরে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে যায়। এই ঘটনা নতুন কিছু নয় এর আগেও বহুবার এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে যখন স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রতিদিনের মতই নিজেদের জমিতে চাষবাসের জন্য গিয়েছে তখন জমির মধ্যে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষজনেরা তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে।
advertisement
ঘটনাস্থলে কুলতলি বন দফতরের কর্মীরা বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে বাঘের গতি প্রকৃতি জানাত চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতরের কর্মীরা। এ বিষয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মুখ্য বন বিভাগীয় আধিকারিক (ডিফও) নিশা গোস্বামী জানান, “শনিবার সকালে কুলতলি দেউলবাড়ী গ্রামে এক ব্যক্তির চাষের জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় এলাকার মানুষজনেরা। এরপর এলাকার মানুষের এক বন দফতর থেকে খবর দেওয় ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। অনেক সময় সুন্দরবন লাগোয়া লোকাল এর মধ্যে খাবারের সন্ধানে বাস চলে আসে আবারও পুনরায় সেই বাঘ নদীর সাঁতরে পুনরায় জঙ্গলে চলে যায়। আমরা এই বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে বাঘের গতিপথ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক গ্রামবাসী বলেন, “আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা যখন চাষের জমিতে কাজ করতে আসে তখন চাষের জমিতে একটি বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায়। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষজনেরা তড়িঘড়ি খবর দেয় বন দফতরে। ইতিমধ্যেই বন দফতরের কর্মীরা এলাকায় এসে পৌঁছেছে। আজকের ঘটনা নতুন কিছু নয়, প্রায় সময় সুন্দরবন লাগোয়া এই গ্রাম হওয়ার কারণে প্রায় সময় নদীর সাঁতরে বাঘ এই গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আমরা রীতি মত আতঙ্কে রয়েছি।”
সুমন সাহা