কালীগঞ্জ থানার পুলিশের উদ্যেগে মুক্তি পেয়েছেন হরিয়ানায় আটক পরিযায়ী শ্রমিক সাহিন শেখ, তিনি বাড়ি ফিরে আসছেন, আতঙ্কে পালিয়ে এসেছেন তার ভাই করিম শেখ। অপরদিকে তেহট্ট থানার পুলিশের উদ্যেগে গতকাল মুক্তি পেয়েছেন পাথরঘাটার বাসিন্দা হাফিজুল শেখ। তাকেও হরিয়ানা পুলিশ আটক করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করা নির্যাতন করা হচ্ছিল। এর মধ্যে ওড়িশাতে ৪৮জন, ছত্তিশগড়ে ৯জন, হরিয়ানায় ৫০জন ও মহারাষ্ট্রে ৩ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। যা নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছিল তাদের পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা বন্দী পরিযায়ী শ্রমিকদের মুক্তির দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করেন। তাদের যাবতীয় পরিচয়পত্র পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
advertisement
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্দি পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিচয়পত্র সেখানে পাঠানো হয়। এরপরই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এখনো পর্যন্ত ১০৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তি পেয়েছেন। মহারাষ্ট্রে আটক তিন পরিযায়ী শ্রমিকের মুক্তির জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকায় খুশি মুক্তি পাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা। তবে মুক্তি পেলেও এখনো আতঙ্কে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অনেকেই চাইছেন আর যাবেন না ভিন রাজ্যে।
পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মুক্তি পেলেন মহারাষ্ট্রে আটক তিন পরিযায়ী শ্রমিকও। মহারাষ্ট্রের পুনেতে সেন্টারিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন করিমপুরের বাসিন্দা সুকান্ত মণ্ডল, তীর্থ মণ্ডল ও মন্টুলাল সরকার। গত ২৪ তারিখে হঠাৎ করেই পুলিশ তাদের বাংলাদেশী সন্দেহে তুলে নিয়ে যায় পুনের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। এরপর তাঁরা করিমপুর থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিচয় জানতে চান। করিমপুর থানার পুলিশ পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিচয় পত্র ও নথিপত্র সেখানে পাঠায়। এরপরই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এ পর্যন্ত কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অন্তর্গত এলাকার ১১০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ভিন রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা সকলেই মুক্তি পেয়েছেন।