তবে দেশরাজের খোঁজ না পেলেও তার পালানোর মুহূর্তের একটি ছবি হাতে পেয়েছে পুলিশ৷ তবে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ নয়, দেবরাজের এই ছবি ধরাও পড়েছে অভিনব পদ্ধতিতে৷ দেবরাজ যখন ঈশিতাকে খুন করে পালাচ্ছে, তখন তাঁদের বাড়ির কাছেই নিজের শিশুকন্যাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি৷ মেয়েকে আইসক্রিম কিনে দিয়ে মোটরসাইকেলের উপরে বসিয়ে ছবি তুলছিলেন তিনি৷ সেই ছবিতেই ওই ব্যক্তির অজান্তেই ধরা পড়ে যায় খুনি দেশরাজের পালানোর মুহূর্ত৷
advertisement
সেই ছবিই এসেছে পুলিশের হাতে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঈশিতাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণনগর শহরের রাস্তা ধরেই দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে অভিযুক্ত দেশরাজ৷ তার পরনে ছিল কালো জিন্স এবং কালো টি শার্ট৷ পিঠে একটি ব্যাগও ছিল দেশরাজের৷
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ঈশিতাকে খুন করে সম্ভবত উত্তর প্রদেশেই পালিয়েছে দেশরাজ৷ কারণ সেখানেই তাঁর দেশের বাড়ি৷ এক সপ্তাহ আগে দেশরাজের মা এবং দিদিও গোরক্ষপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ ইতিমধ্যেই নদিয়া জেলা পুলিশের একটি দল উত্তর প্রদেশ রওনাও দিয়েছে৷
দেশরাজ যে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ঈশিতাকে খুন করতে এসেছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ৷ কারণ কৃষ্ণনগরে পৌঁছনোর আগেই সোমবার নিজের মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে দিয়েছিল সে৷ দেশরাজের শেষ টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে নদিয়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার সীমান্ত লাগোয়া মোহনপুর এলাকায়৷
শুধু তাই নয়, যেভাবে দেশরাজ প্রবল আক্রোশে ঈশিতার মাথায় পর পর তিনটি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে, তাও তার অপরাধ প্রবণতা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের৷ আপাতত যে কোনও ভাবে কৃষ্ণনগর কাণ্ডের খুনি প্রেমিক দেশরাজকে গ্রেফতার করতে মরিয়া পুলিশ৷