পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ১২ অগাস্ট নিখোঁজ হন নাকাশিপাড়া থানার বাদবিল্ব গ্রামের এক তরুণী। পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মফিজুল হালদার নামে এক যুবক তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই বছরেরই ৪ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে ১১ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। তদন্তের দায়িত্ব নেন মহিলা ASI দিপালী খনম।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কাজ! দিঘার উপকূল রক্ষায় লাগানো হচ্ছে ‘প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ’
তদন্তের শুরুতে তিনি জানতে পারেন, অভিযুক্তের বাড়ি সুন্দরবন পুলিশ জেলার অন্তর্গত কুলপি থানার আতমোসিদ এলাকায়। কিন্তু এছাড়া আর কোনও তথ্য না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তদন্তকারী অফিসারকে। কিছুদিন আগে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক বিবাহিত ও তাঁর ৪ সন্তান আছে। কেরালায় টেলারিংয়ের কাজ করেন যুবক। সেখানেই ওই তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচারের উদ্দেশে আটকে রেখেছেন।
এরপরই ওই তদন্তকারী মহিলা অফিসার সহ SI নিলোফার সুলতানা, কনস্টেবল সুচিত্রা সরকার ও কৃষ্ণা বিশ্বাস- চারজন মহিলা পুলিশের একটি দল গত ২ সেপ্টেম্বর কেরালার উদ্দেশে রওনা দেন। ৪ তারিখ রাতে তিরুবনন্তপুরম থেকে ওই যুবককে গ্রেফতারের পাশাপাশি অপহৃত তরুণীকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
৫ তারিখ আদালতে তোলা হলে ৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ৯ তারিখ ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আজ ভোরে নাকাশিপাড়া থানায় এসে পৌঁছায় পুলিশের দল। কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষের দাবি, রাজ্যে এই প্রথম কোনও মহিলা পুলিশের দল এই ধরণের অভিযান চালাল। নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।