TRENDING:

আদালতের নির্দেশে তালা ঝুলল সরকারি অফিসে! ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বিপাকে সেচ দফতর

Last Updated:

ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা এবং সেচ দফতর ৩৩ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। সেচ দফতর এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়নি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নদীয়া, সমীর রুদ্র:  আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে জমি দখল করে বেআইনিভাবে খাল তৈরির ক্ষতিপূরণ দেয়নি সেচ দফতর। যে কারণে আদালতের নির্দেশে নদিয়া ডিভিশনের সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হল। ১৯ আগস্ট তৃতীয় মুন্সেফ আদালতের বিচারক দিব্যেন্দু দাসের রায়ের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে লাগানো হল তালা।
সেচ দফতরের অফিসে তালা।
সেচ দফতরের অফিসে তালা।
advertisement

জানা গিয়েছে ১৯৭৭-৭৮ সাল নাগাদ বর্তমান পলাশিপাড়া থানার অন্তর্গত ২০ নম্বর পাঁচদাড়া মৌজার অভয়নগরে আজগর শেখ, আজমত শেখ, খেজমত শেখ ও সুলতান শেখের মোট ২.৬৫ একর জমিতে হঠাৎ সেচ দফতরের উদ্যোগে খাল খনন শুরু হয়। তবে বিষয়ে কিছুই জানতেন না জমি মালিকরা। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁদের জানান হয়, শীঘ্রই জমি অধিগ্রহণের নোটিস দেওয়া হবে। কিন্তু কয়েক বছর কেটে গেলেও জমি অধিগ্রহণের কোনও নোটিস তাঁদের হাতে পৌঁছয়নি।

advertisement

আরও পড়ুন : সরকারি অফিসে নিজের কেরিমতি দেখালেন যুবক! সেই দেওয়াল এখন সেলফি পয়েন্ট

পরবর্তীতে জমির মালিকরা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেন। কিন্তু বিনা নোটিসে জমি দখলের প্রায় ২০ বছর কেটে গেলেও তৎকালীন সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অবশেষে ১৯৯৭ সালে তাঁরা কৃষ্ণনগর আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০০০ সালে আদালত রায়ে জানিয়ে দেয়. জমির প্রকৃত মালিক আজগর শেখ, আজমত শেখ, খেজমত শেখ ও সুলতান শেখ। পাশাপাশি, কোনওরকম আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সরকার খাল খনন করেছে বলে জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের যোগ্য, এই মন্তব্যও করে আদালত। খনন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।

advertisement

আরও পড়ুন : এইভাবে কী সম্ভব? জলের ওপরেই চলছে পড়াশোনা! পানিহাটির অবস্থা দেখলে অবাক হবেন

পরবর্তীতে রাজ্য সরকার পাল্টা মামলা করলেও আদালত আগের রায় বহাল রাখে। তবে খনন বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালে জমির মালিকরা পুনরায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে রাজ্য সরকার নানা অজুহাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারটি এড়িয়ে যায়। অবশেষে ২০২২ সালে জমির মালিকরা কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। তাতে আদালত নির্দেশ দেয়, ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা এবং সেচ দফতর ৩৩ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট টাকা দিয়ে দিলেও সেচ দফতর এখনও পর্যন্ত টাকা দেয়নি।

advertisement

আরও পড়ুন : বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত দোতলা বাড়ি! শান্তিপুরে খোদ চেয়ারম্যানের পাড়ায় ‘অশান্তি’

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চোখ ধাঁধানো আলপনায় মোড়া মণ্ডপ, এমন নিখুঁত কাজ দেখতে দর্শকদের হুড়োহুড়ি
আরও দেখুন

এরপর জমির মালিকরা পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হন। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৯ আগস্ট কৃষ্ণনগর আদালত নদীয়া জেলার সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের অফিস সিল করার নির্দেশ দেন। সেইমতো এদিন জলঙ্গি ভবনের দোতলার অফিসটির ছ’টি ঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সেচ দফতরের আধিকারিকরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আদালতের নির্দেশে তালা ঝুলল সরকারি অফিসে! ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বিপাকে সেচ দফতর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল