বেঁচে থাকা এবং দু’মুঠো ভাতের জন্য শত কষ্ট মুখ বুজে সহ্য করে দাঁতে দাঁত চেপে মাটির প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন কৃষ্ণাদেবী। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন মহিলা মৃৎশিল্পী। মরশুম অনুয়ায়ী কালী, সরস্বতী, কার্তিক, মনসা প্রতিমা গড়ার বরাত পান। যত্ন সহকারে মূর্তি বানানোর কাজ ছেলেকেও শিখিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি মা-কে সহযোগিতা করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৮ বছর বয়স থেকে উমার আরাধনা! কাগজের প্রতিমা গড়ে তাক লাগাল ছোট্ট সৌরিশ, নিজেই করে দুর্গাপুজো
৫২ বছরের কৃষ্ণাদেবী এই বছর আটটি বড় দুর্গা প্রতিমা গড়ছেন। জায়গার অভাবের কারণে প্রতিমা বানাতে প্রতিবেশীর বাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। প্রৌঢ়ার এমন লড়াইকে এলাকার বাসিন্দারা কুর্নিশ জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণার স্বামী মৃৎশিল্পী ছিলেন। কাজ করার সময় তিনি স্বামীকে সাহায্য করতেন। এখন সেই কাজ করেই সংসার চালাচ্ছেন কৃষ্ণাদেবী।
যদিও জানা যাচ্ছে, গোটা পরিবার আর্থিক সমস্যায় ডুবে। সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। স্বামীর শেখানো বিদ্যাই এখন কৃষ্ণাদেবীর রুজি রোজগারের একমাত্র সম্বল। শুধু তাই নয়, তিনি নিজের সংসার চালানোর পাশাপাশি আরও ছয়টি পরিবারের অন্ন যোগানোর ব্যবস্থা করেছেন। কারণ এই বছর তিনি ভাল পরিমাণে বরাত পেয়েছেন। সেই প্রতিমা গড়ে তোলার জন্য কর্মী প্রয়োজন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কীভাবে ধাপে ধাপে মাটির প্রতিমা গড়তে হয়, সেই বিদ্যা স্বামী শিখিয়েছিলেন। মূর্তি গড়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামী মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের সব দায়িত্বে স্ত্রীর কাঁধে চলে এসেছে। মৃৎশিল্পী কৃষ্ণাদেবী বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর কষ্টে দিন কাটে। তবে তাঁর কাছ থেকে প্রতিমা গড়ার কাজটা শিখে রেখেছিলাম বলেই আজ সংসার চালাতে কোনও সমস্যা হয় না।