৫০ বছরের বেশি বেশি সময় ধরে কোলাঘাট স্টেশনের পাশে বসে এই ফুল বাজার। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলবাজার হিসেবে পরিচিত কোলাঘাট ফুলবাজার। বাজারটি রেলের জায়গার ওপর হওয়ায় প্রতিদিন ফুলবাজারে আসা চাষি ও ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায় করে রেল। রাজস্ব আদায় হলেও পরিকাঠামগত উন্নয়ন একেবারেই নেই বলে অভিযোগ। ফুলবাজারের পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন করেননি রেল কর্তৃপক্ষ। এই ফুল বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়াটা জরুরি বলে মনে করছেন ফুল ব্যবসায়ী থেকে ফুল চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘দুয়ারে লাইব্রেরি’, ঘরে ঘরে পৌঁছে ৩০০ রকমের বই! মুর্শিদাবাদে খুদে পড়ুয়াদের চমকে দেওয়া উদ্যোগ
এ বিষয়ে সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়েক জানান, “দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে কোলাঘাট রেল স্টেশনের ডাউন লাইনের পাশে রেলের জায়গায় ফুলের বাজার হয়ে আসছে। কোলাঘাট ফুলবাজার থেকে বিপুল রাজস্ব আয়ের পরেও কোনও উন্নয়ন করেননি কর্তৃপক্ষ। আমরা চাই, ফুলবাজারে আসা ফুলচাষি এবং ফুল ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধানে রেল উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক। তাই ফুল বাজারের উন্নয়নের জন্য তমলুকের সাংসদ ও জেলাশাসক ইউনুস রিশিন ইসমাইলের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিশান্ত কুমার বলেন, ‘কোলাঘাট ফুলবাজারে স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই রেলের। প্রাথমিক চাহিদাগুলির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’ কোলাঘাট রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মের পাশে ১৪৬৯ বর্গমিটার জায়গার উপরে বসে ফুলবাজার। ফুলবাজারে রয়েছে অনুসারী সামগ্রীর অন্তত কুড়িটি দোকান। রেলের জায়গায় এই বাজার বসার দরুণ প্রতিদিন রেল কর্তৃপক্ষ ফুলচাষিদের থেকে ১০ টাকা, দোকানদারদের থেকে ২৫ টাকা ও ফুল ওজন করার লোকেদের থেকে ২৫ থেকে ৪০ টাকা করে সংগ্রহ করেন। এত বড় বাজারে কোনও শৌচাগার নেই। নেই কোনও ভ্যাট। ফুলবাজারের পাশে পড়ে থাকে অব্যবহৃত ফুল। সেগুলি পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। নাকে হাত চাপা দিয়েই চলে বেচাকেনা।






