ফলে ভোটাধিকার থাকলেও মতুয়ারা কেন এখন নাগরিকত্ব পাওয়ার আনন্দে উৎসব করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি মতো সিএএ চালু হওয়ায় রীতিমতো খুশির হাওয়া মতুয়া ধর্মের পীঠস্থান ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি জুড়ে। কাসর, ডঙ্কা বাজিয়ে, নিশান উড়িয়ে মতুয়া ভক্তরা দলে দলে আসছেন ঠাকুরবাড়িতে। তাই এখন উৎসবের চেহারা ঠাকুরনগর জুড়ে।
আরও পড়ুন: অভিষেক বাচ্চা ছেলে, ব্যবসা করছিল, ইডি সব বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে: মমতা
advertisement
কিন্তু সিএএ চালু হওয়ায় কী বাড়তি সুবিধা মিলবে মতুয়াদের? মতুয়া ধর্মালম্বীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে বহু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এই দেশে আসেন। আর সেই সময় থেকেই উদ্বাস্তু সমস্যা এবং নাগরিকত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে মতুয়াদের নানা পরিস্থিতিতে নিজেদের এদেশীয় প্রমাণ করা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। নিম্ন বর্ণের সম্প্রদায়ের মানুষজনের মাথা উচু করে বাঁচার অধিকারের জন্য লড়াই করেন মতুয়াদের দুই ধর্মগুরু হরি চাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুর। পরবর্তীতে সেই আন্দোলনে ধীরে ধীরে ব্যাপক আকার ধারণ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে।
মতুয়া ভক্ত স্বপন বিশ্বাস জানান, “বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসার পর বাংলাদেশী তকমা দিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় ঘরবাড়ি। জলের লাইন থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন ভোটের অধিকার ছিল না আমাদের। এমন কি, ছেলেরাও রয়ে গিয়েছে বেকার। এই নাগরিকত্ব আইন হলে আমাদের অন্তত একটা স্বীকৃতি মিলবে, আর এটাই আমাদের বড় জয়। “
আর এক মতুয়া ভক্ত হরিবর সরকার বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই এখন আমরাও জোর গলায় বলতে পারব আমরা এ দেশের নাগরিক আর সেই সম্মানই মিলবে এই সিএএ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে। আমাদের দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তা দূর হল।” তবে অন্যদিকে ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য মমতা বালা ঠাকুর জানান, “যদি নরেন্দ্র মোদির আধার এবং ভোটার কার্ড থাকলে তিনি দেশের নাগরিক হন, তবে মতুয়ারাও দেশের নাগরিক।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেছেন, যাঁদের ইতিমধ্যে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে,তাঁরা প্রত্যেকেই দেশের নাগরিক৷
Rudra Nrayan Roy