১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহায্যে পরবর্তী নবাব হলেন মীরজাফর। তিনি লর্ড ক্লাইভের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাংলার কয়েকটি অঞ্চল। তার মধ্যেই ছিল বসিরহাট এবং সেই থেকে বসিরহাট একটি মহকুমা হিসেবে চিহ্নিত হয়। এক সময় নুন ব্যবসার এক জমজমাট কেন্দ্র হয়ে ওঠে বসিরহাট। পাশের বাগুন্ডি গ্রামে ইংরেজ কোম্পানি ব্যবসার সুবিধার্থে ‘সল্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট’ অফিস গড়ে তোলে। সেসময় ইছামতীর জল থেকে তৈরি হত লবন।
advertisement
তবে এই শহর বসিরহাটের নামকরণের আছে একাধিক ইতিহাসের ইতিকথা। নামকরণের ইতিহাস অতি প্রাচীন হলেও তা নিয়ে বিতর্ক আছে বিস্তর। কেউ বলেন, ‘বশি’ মানে নুন। বসিরহাটে যে একটা সময়ে নুনের বাণিজ্য চলত তার থেকেও নামকরণ হতে পারে। কিছু লোক বলেন, বাঁশের হাট থেকে এরকম নাম হয়েছে। ‘বসতি’ থেকেও বসিরহাট নামটা আসতে পারে, এই সম্ভাবনার কথাও বলেছেন কিছু মানুষ। আবার কারও কারও মতে, বসির মহম্মদ বা বসির খানের থেকে গোটা অঞ্চলের নাম হয়েছে বসিরহাট। মধ্যযুগে এখানে বসিরের নামে হাট বসত বলে একটা মত চালু আছে।
জুলফিকার মোল্যা