শুধু মন্দিরই নয়, মন্দিরের ধরন, গঠনশৈলী অবাক করেছে ইতিহাসবিদদের। তবে এই মন্দিরের নেপথ্যে রয়েছে ইতিহাস। যা সুদীর্ঘ কাল ধরেই জেলাকে পৌঁছে দিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্রে এক নতুন ঠিকানায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি গ্রামে রয়েছে একাধিক মন্দির। শুধু মন্দির হিসেবে যে বিখ্যাত তা নয়, নদীর পাড়ে সুপ্রাচীন মন্দির এবং তার গঠনশৈলী ও ইতিহাস গোটা দেশের কাছে অনন্য নিদর্শন। নদীর পাড়ে এক টুকরো স্বপ্ননগরী জেলার এই গ্রাম। একাধিক শিল্পরীতি এবং গঠনরীতির এই মন্দিরগুলো। বিভিন্ন মন্দিরে টেরাকোটার আদল থেকে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা ফুটে উঠেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহর থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই অবস্থিত মন্দিরময় পাথরা গ্রাম।
advertisement
ছোট্ট এই গ্রামে দেউল, রত্ন, দালান প্রায় সমস্ত রীতিরই মন্দির দেখা যায়। গ্রামে প্রবেশ করলে আপনি লক্ষ করতে পারবেন একাধিক মন্দির, সংখ্যাটা প্রায় তিরিশেরও অধিক। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদী। তার পাশেই এক কালে গড়ে উঠেছে এত সংখ্যক মন্দির। কোনও মন্দির টেরাকোটা শিল্পরীতিতে নির্মিত, কোনওটি পঞ্চরত্ন মন্দির, আবার কোনওটি দেউল রীতির আদলে নির্মিত। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন শিল্পরীতি ফুটে উঠেছে একাধিক মন্দিরে। চলাচলের রাস্তার দুপাশেই চোখে পড়বে এত সংখ্যক মন্দির।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, বহু বছর আগে এখানে জমিদারি চালিয়েছে মজুমদার এবং বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং সৌজন্যে গড়ে ওঠে এতগুলো মন্দির। তবে এর আগে আরও কতগুলো মন্দির ছিল তা অজানা। মনে করা হয় পাশ দিয়ে বয়ে চলা কংসাবতী নদীর প্রবাহ এবং দিক পরিবর্তনের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে একাধিক মন্দির। তবে এখনও প্রায় ৩৪ টি মন্দির অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।