পরাধীন ভারতবর্ষের ভারতের জাতীয় পতাকার প্রথম রূপকার বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। তিনি প্রথম বাঙালি যিনি প্যারিসে গিয়ে শিখেছিলেন বোমা তৈরির কৌশল। তার তৈরি বোমা ক্ষুদিরাম বোস এবং প্রফুল্ল চাকী অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে মারতে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু জানেন কি বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো ছিলেন তার মামা বাড়ির খুব আদরের। অনেক সময় তিনি কাটিয়েছেন মামা বাড়িতে।মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের খণ্ডরুই এলাকায় রয়েছে হেমচন্দ্র কানুনগোর মামার বাড়ি। হেমচন্দ্র কানুনগোর মামারবাড়িতে ছিল জমিদাররাজ।
advertisement
এলাকায় ছিল জমিদার বাড়ি। সেখানে তিনি যেতেন বহুবার। এখনও তার মামার বাড়ি সামান্য কিছু ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। রয়েছে পরিবারের উত্তর পুরুষেরা। পরিবার সূত্রে খবর এবং ইতিহাসবিদেরা মনে করেন, হেমচন্দ্র কানুনগো মামার বাড়িতে বসেও বিপ্লবী কার্যকলাপ চালিয়েছেন। এখানে এলাকার তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি। করেছিলেন সংগঠনও। তবে এখন ক্রমশ ধ্বংসের মুখে মামা বাড়ির সেই জমিদার রাজের ইতিহাস। তবে এখনও তার পরিবারের উত্তরসুরিরা স্মরণ করে হেমচন্দ্রের জীবনের নানা কাহিনি।
পরে আলিপুর বোমা মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, বিচারে তার দ্বীপান্তর হয়। ফিরে এসে শেষ বয়স কাটিয়েছিলেন নিজের বাসভূমিতে। আসতেন মামার বাড়ি। হেমচন্দ্রের কৃতিত্বে এবং বৈপ্লবিক চিন্তা ধারায় গর্বিত মামার বাড়ির উত্তর পুরুষেরা। তবে মামা বাড়িতে হেমচন্দ্রের সেই স্মৃতি আগলে রেখেছেন উত্তর পুরুষেরা। সেই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখন কার্যত বিলীনের পথে, তবুও সেদিনের স্মৃতি টাটকা সকলের কাছে।
রঞ্জন চন্দ