অবিভক্ত মেদিনীপুরে জন্ম শহীদ ক্ষুদিরামের। সর্বকনিষ্ঠ এই বিপ্লবী যিনি দেশের জন্য হাসতে হাসতে আত্ম বলিদান দিয়েছিলেন, সেই ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে জন্ম ক্ষুদিরামের, এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও গবেষকেরা দাবি করেন ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরে। এই হবিবপুর মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত সেখান থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরেই কেশপুরের মোহবনি গ্রামে। বেশ কয়েকজন মনে করেন হবিবপুরে জন্ম ক্ষুদিরামের, বেশ কয়েকজন আবাদ প্রমাণ দিয়েছেন তার জন্ম কেশপুরে। যদিও সেখানে বেশিদিন থাকেনি বলে দাবি পরিবারের।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলেই ব্যাঙ্ক, স্কুলেই হাসপাতাল! রাজ্যের ইউনিক এই প্রাইমারি স্কুলে টাকা জমান পড়ুয়ারা
মেদিনীপুর জন্ম দিয়েছিল ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই বীর সন্তানকে। ছোট থেকেই দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে নিজের প্রাণ সঁপে দিয়েছিলেন দেশের প্রতি। সামান্য বয়সেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হয় ক্ষুদিরামকে। এখনও তাকে স্মরণ করে দেশবাসী। ১৮৮৯ সালে ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের নাড়াজোল রাজ পরিবারের তহসিলদার ত্রৈলোক্যনাথ বসু এবং লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেয় ক্ষুদিরাম। ক্ষুদিরাম ছিলেন তার মায়ের চতুর্থ সন্তান। দুই সন্তানের অকাল মৃত্যুর পর ক্ষুদিরাম বসুর দীর্ঘজীবন চেয়ে তার দিদি অপরূপা দেবীর কাছে খুদের বিনিময়ে বিক্রি করা হয় ক্ষুদিরামকে। সেই হিসেবেই ক্ষুদিরামের নামকরণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে ছোট থেকেই ভারতকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্তি দিতেই তিনি প্রাণ দিয়েছেন। সেই ক্ষুদিরামের জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। মনে করা হয়, কেশপুর ব্লকের মোহবনি এলাকায় জন্ম ক্ষুদিরামের। তবে বেশ কিছু গবেষকেরা দাবি করেন, হবিবপুরে কালী মন্দিরের ঠিক বিপরীতেই তার জন্ম হয়। এও দাবি করা হয় যে, এই কালীমন্দিরে মানত করেছিলেন ক্ষুদিরামের মা। তবে হবিবপুরের তার এই জন্মস্থানকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। জন্মভিটাকে সংরক্ষণ করেছে প্রশাসন। রয়েছে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতি। তবে জানা যায় কেশপুরের মোহবনী এলাকায় থাকতেন ক্ষুদিরাম বসুর পূর্বপুরুষ এবং বর্তমানে উত্তর পুরুষেরা।
স্বাভাবিকভাবে, ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম হয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। বড় হয়ে ওঠা, বিদ্যালয়ে জীবন মেদিনীপুর শহরে। পড়াশোনার কারণে কয়েক বছর তমলুকে থাকলেও মেদিনীপুরেই তার স্বাধীনতা আন্দোলনে হাতে খড়ি। তবে শুধু জেলা বাসি নয় সারা দেশবাসী আজও স্মরণ করে শহীদ ক্ষুদিরামকে, দেশমাতৃকার জন্য তার আত্মবলিদানকে।
রঞ্জন চন্দ