হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের রনমহলের ঘটনা। লিপিকা সাঁতরা ও তার পরিবারের দাবি, গ্রুপ লোনের মাধ্যমে ব্যবসা করতে গিয়ে ব্যবসায় লস হওয়ায় ধীরে ধীরে ধারের টাকা শোধ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রাপকরা ক্রমাগত টাকা ফেরতের চাপ দিতে থাকে। প্রাপকদের মধ্যেই একজন হাওড়ার একটি বেসরকরি হাসপাতালে লিপিকার কিডনি বিক্রির ব্যবস্থাও করে দেন। কিন্তু লিপিকা কিডনি বিক্রি করতে না চাওয়ায় বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে দুষ্কৃতীরা। ঘর থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ।
advertisement
চলতি বছর অগাস্ট মাসেই আর একটি কিডনি পাচার চক্রের হদিশ সামনে আসে। বেশ কয়েক বছর ধরে সুন্দরবনের ক্যানিংয়ে কিডনি পাচার চক্র মাথা চারা দিয়েছে বলে অভিযোগ ক্যানিং ও তার আশপাশের এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ মোট টাকার বিনিময়ে নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও প্রতিশ্রুতি মতো টাকা তারা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্যানিং ১ ব্লকে কিডনি পাচার চক্র সক্রিয় মূলত হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায়। অনেক সময় পরিবারে আর্থিক অনটনের জন্যে এই চক্রের সঙ্গে হাত মেলাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। কিডনির বিনিময়ে মিলছে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতারিত হচ্ছেন। এই দালাল চক্রে পড়ে কিডনি দান করার পরও মিলছে না টাকা।