তবে এরপর কীভাবে চলবে সেই প্রশ্ন এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে মনে। তবে দুই নাবালক এবং নাবালিকার পড়াশোনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, খাতড়ার কাশীপুরে এক ব্যক্তির অকাল মৃত্যু হয়। কিন্তু অর্থাভাবে দাহ করতে পারছিল না পরিবার। অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই দুঃস্থ যে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। ওই গ্রামে পৌঁছে যান শান্তনু সিংহ। পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মে তাদের চাহিদা মত একশো কুড়ি জন মানুষকে বসে খাওয়ানোর রান্নার দ্রব্যাদি তুলে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন : একই দিনে দুই যুবকের করুণ পরিণতি, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে গেল প্রাণ! গুরুতর আরও এক
একইসঙ্গে নগদ অর্থ সাহায্য করেন এবং ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেয়। নিস্পাপ ছেলে-মেয়ের করুণ মুখ ও তাদের মায়ের চোখের জলে ভিজে গিয়েছিল আমাদের মন। মেয়েটি পড়াশোনায় বেশ ভাল। সমাজকর্মী তথা শিক্ষক রাধাকান্ত মুদি তাঁকে একটা হোষ্টেলে রেখে পড়াশোনার দেখভাল করেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁর খরচ যোগানোর মত কেউ ছিলনা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মেয়েটির পড়াশোনার লক্ষ্যে শান্তনু সিংহ বলেন, ব্যক্তিগত সাধ্যের মধ্যে দ্বায়িত্ব নিয়ে বললাম মেয়েটি যতদিন পড়াশোনা চালিয়ে যাবে ততদিন পর্যন্ত মাসে পাঁচশো টাকা করে আমি দিয়ে যাব। তাঁর শিক্ষার প্রয়োজন। মেয়েটি অন্তত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক। পাড়ার যে ক’টা বাড়ি, সেগুলো কুঁড়ে ঘর বললেও ভুল হবে। বলতে হয় ছেঁড়া ত্রিপলে মোড়া মাটির দেওয়ালে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই মাত্র। এমন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামবাসীরাও এগিয়ে আসেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। যা সমাজে মানবতা বেঁচে থাকার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে রইল।





