TRENDING:

Humanity Story : বাবার দেহ দাহ করার মতো কানাকড়িও ছিল না, যেন শরৎচন্দ্রের ছোটগল্প! তারপর মানবিকতার মানে বুঝল বাঁকুড়া

Last Updated:

Humanity Story : মৃত বাবার দেহ দাহ করার মতো অর্থক্ষমতা ছিল না পরিবারের, এগিয়ে এল গ্রামবাসীরা। খাতড়া দেখলে মানবিকতার আসল মানে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
খাতড়া, বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: সাঁইত্রিশ বছরের তরতাজা প্রাণ জণ্ডিস রোগ কেড়ে নিল। পথে বসে স্ত্রী সহ দুই নাবালক পুত্র ও কন্যা। ছেলে চতুর্থ শ্রেণীতে এবং মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি মারা যাওয়ায় এক প্রকার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। দুই ছেলে মেয়ের মনে প্রশ্ন, বাবাকে দাহ করবে কীভাবে। যদিও সমাধানে এগিয়ে আসে গোটা গ্রাম। স্থানীয় শিক্ষক তথা গ্রামের বাসিন্দা রাধাকান্ত মুদির সহযোগিতায় হয়েছে শেষকৃত্য।
advertisement

তবে এরপর কীভাবে চলবে সেই প্রশ্ন এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে মনে। তবে দুই নাবালক এবং নাবালিকার পড়াশোনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, খাতড়ার কাশীপুরে এক ব্যক্তির অকাল মৃত্যু হয়। কিন্তু অর্থাভাবে দাহ করতে পারছিল না পরিবার। অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই দুঃস্থ যে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। ওই গ্রামে পৌঁছে যান শান্তনু সিংহ। পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মে তাদের চাহিদা মত একশো কুড়ি জন মানুষকে বসে খাওয়ানোর রান্নার দ্রব্যাদি তুলে দেন।

advertisement

আরও পড়ুন : একই দিনে দুই যুবকের করুণ পরিণতি, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে গেল প্রাণ! গুরুতর আরও এক

একইসঙ্গে নগদ অর্থ সাহায্য করেন এবং ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেয়। নিস্পাপ ছেলে-মেয়ের করুণ মুখ ও তাদের মায়ের চোখের জলে ভিজে গিয়েছিল আমাদের মন। মেয়েটি পড়াশোনায় বেশ ভাল। সমাজকর্মী তথা শিক্ষক রাধাকান্ত মুদি তাঁকে একটা হোষ্টেলে রেখে পড়াশোনার দেখভাল করেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁর খরচ যোগানোর মত কেউ ছিলনা।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ঋত্বিক ঘটক স্পেশ্যাল চলচ্চিত্র উৎসব! কিংবদন্তির জন্ম শতবর্ষে মধ্যমগ্রামে বিশেষ আয়োজন
আরও দেখুন

মেয়েটির পড়াশোনার লক্ষ্যে শান্তনু সিংহ বলেন, ব্যক্তিগত সাধ্যের মধ্যে দ্বায়িত্ব নিয়ে বললাম মেয়েটি যতদিন পড়াশোনা চালিয়ে যাবে ততদিন পর্যন্ত মাসে পাঁচশো টাকা করে আমি দিয়ে যাব। তাঁর শিক্ষার প্রয়োজন। মেয়েটি অন্তত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক। পাড়ার যে ক’টা বাড়ি, সেগুলো কুঁড়ে ঘর বললেও ভুল হবে। বলতে হয় ছেঁড়া ত্রিপলে মোড়া মাটির দেওয়ালে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই মাত্র। এমন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামবাসীরাও এগিয়ে আসেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। যা সমাজে মানবতা বেঁচে থাকার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে রইল।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Humanity Story : বাবার দেহ দাহ করার মতো কানাকড়িও ছিল না, যেন শরৎচন্দ্রের ছোটগল্প! তারপর মানবিকতার মানে বুঝল বাঁকুড়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল