অর্থ যে কোনও অংশে বাধা হতে পারে না তার আরেকটা প্রমাণ খড়্গপুরের শুভজিৎ। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা পরিবারে। তাও খড়গপুর থেকে মুম্বই পাড়ি। সেখানে গান গেয়ে গোটা দেশে নাম করেছেন এই ছেলে। এখন সারা বাংলার কাছে পরিচিত নাম খড়্গপুরের শুভজিৎ চক্রবর্তী। খড়গপুর গ্রামীণের চাঙ্গুয়াল এলাকার বাসিন্দা তিনি। বাবার কাছেই ছোট থেকে তালিম। মা-ও একজন পেশাদার শিল্পী ছিলেন। এভাবেই শিল্পীর পরিবারে বড় হয়ে ওঠা শুভজিতের। বাবার সঙ্গে গুনগুনিয়ে গাইতেন গান। পরবর্তীতে কলকাতা এবং তারপর মুম্বই মাতিয়েছেন তিনি। বাংলার লোকগানের প্রসার করেছে সারা দেশের মানুষের কাছে।
advertisement
অভাবের সংসার চালাতে কখনও পান দোকানে বসতে হয়েছে তাঁকে। সেখানে বসে গান গাইতেন। তাঁর গানের গলা শোনার জন্য ভিড়ও জমত দোকানে। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে, হারমোনিয়াম এর রিডগুলো তেমন আর বাজে না। এভাবেই প্র্যাকটিস করতেন শুভজিৎ। তার গানের গলা মুগ্ধ করেছে। বাড়ি ফিরতেই আনন্দে মেতে উঠেন সকলে।
হুডখোলা গাড়িতে চাপিয়ে গোটা এলাকা ঘোরেন সাধারণ মানুষ। সম্মান জানিয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ। এখন শুভজিৎ কলকাতার একটি কলেজে পড়াশোনা করছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মুম্বাই দাপানো, দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে আশার আলো জোগাবে গায়ক শুভজিৎ চক্রবর্তী, আশায় সকলে।
রঞ্জন চন্দ