TRENDING:

West Medinipur News: খানজাপুরের সূর্য ঘড়ি আজও মনে করিয়ে দেয় অতীতের দিনগুলি, কারণ জানলে অবাক হবেন

Last Updated:

West Medinipur News: বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে বেরিয়েছে আধুনিক ঘড়ি এখন তো আবার স্মার্ট ওয়াচ তাই টাইম সেট করার কোনো ব‍্যাপারই এখন নেই। সব অটোমেটিক সিস্টেম।তবে একটা সময় ছিল যখন দম দিতে হত ঘড়িতে ,সঠিক ভাবে সময় ঠিক করতে হত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে বেরিয়েছে আধুনিক ঘড়ি এখন তো আবার স্মার্ট ওয়াচ তাই টাইম সেট করার কোনও ব‍্যাপারই এখন নেই। সব অটোমেটিক সিস্টেম। তবে একটা সময় ছিল যখন দম দিতে হত ঘড়িতে, সঠিক ভাবে সময় ঠিক করতে হত। আর তারও আগের ইতিহাস বলতে গেলে তখন কোনও ঘড়িই ছিল না সূর্য ঘড়ি দিয়েই প্রাচীনকালে সময় নির্ধারণ করা হত। তবে কালের নিয়মে সেইসব হারিয়ে গেছে। তবে জানেন কি, ঘাটালের দাসপুরে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে আজও রয়েছে গেছে প্রায় দু’শো বছরের প্রাচীন সূর্যঘড়ি!
advertisement

দাসপুরে একটি প্রাচীন সূর্যঘড়ি রয়েছে যা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। এটি দাসপুরের ‘পাল’ পরিবারের তৈরি এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি খাঞ্জাপুর গ্রামে, রথ তালার কাছে অবস্থিত। সঠিক ভাবে জানা না গেলেও আনুমানিক ১২৫ বছরের পুরনো এই সূর্য ঘড়ি।

আরও পড়ুন-১১০ কিমি বেগে তেড়ে আসছে…! শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র ‘ল্যান্ডফল’ কখন? আগামী ৩ দিনের জন্য বন্ধ স্কুল-কলেজ, জারি সতর্কতা

advertisement

সূর্যঘড়ি হল একটি প্রাচীন সময় পরিমাপক যন্ত্র, যা সূর্যের অবস্থান এবং ছায়ার দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে সময় নির্ধারণ করে। এটি একটি সরল এবং কার্যকর পদ্ধতি, যা প্রাচীনকালে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। সূর্যঘড়ির মূল অংশ হল একটি উল্লম্ব লাঠি বা স্তম্ভ, যা সূর্যের আলোতে ছায়া ফেলে। ছায়ার দৈর্ঘ্য এবং অবস্থান সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সূর্যঘড়িতে সাধারণত সময় নির্দেশক রেখা বা চিহ্ন থাকে, যা ছায়ার অবস্থানের সঙ্গে মিলিয়ে সময় নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। সূর্যঘড়ির কিছু বৈশিষ্ট্য হল সূর্যঘড়ি একটি সরল এবং কার্যকর সময় পরিমাপক যন্ত্র। আর এই সূর্যঘড়ি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সূর্যঘড়ির কার্যকারিতা সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। ছায়ার দৈর্ঘ্য এবং অবস্থান সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।

advertisement

আরও পড়ুন-প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই বলি নায়িকার সঙ্গে সহবাস! ১৪ বছর ধরে অভিনয় থেকে উধাও, আজ ২০০০ কোটি টাকার মালিক, এখন কোথায় আছেন গোবিন্দর নায়িকা?

ঘাটাল মহকুমার অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন সূর্যঘড়ি। সম্ভবত ১৮১৭ সালে ওই ঘড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সূর্যের আলোর মাধ্যমে সময় নির্দেশ করে। দাসপুর দুই ব্লকের খাঞ্জাপুর হাইস্কুল সংলগ্ন পাল পুকুরের পাড়ে দেখতে পাওয়া যাবে ওই দর্শনীয় বস্তুটি।প্রথমত ঘাটাল-রানিচক পিচ রাস্তা, দ্বিতীয়ত বেলিয়াঘাটা বাসস্টপ থেকে কামালপুর হয়ে কিম্বা দাসপুর থেকে ভরতপুর দুবরাজপুর কামালপুর হয়ে মোট তিনদিক থেকেই যাওয়া যাবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদীতে পারে উৎসব! ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ ছুঁটছে নদীর দিকে! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন
আরও দেখুন

প্রশান্তকুমার পাল ওই গ্রামেই জন্মে ছিলেন। তিনি পেশায় ছিলেন ওড়িশা ও বিহারের স্বনামধন্য ইঞ্জিনিয়ার। তাঁরই অসাধারণ কীর্তি পাথর নির্মিত ওই সূর্য ঘড়ি। ভোর ৫টা ৪০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ওই ঘড়িটি সূর্যের আলো দ্বারা সময় নির্দেশ করে। ছবির ঘড়িতে উঁচু ফলকের ছায়া সময় নির্দেশ করে। শোনা যায় একসময় ঘড়িটিকে চুরি করে নিয়ে যাবার পথে দুষ্কৃতীরা অজানা কারণে পার্শ্ববর্তী মাঠে ফেলে রেখে গিয়েছিল। পরবর্তী সময় স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এটিকে খোলা জায়গায় না রেখে লোহার ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। সূর্যঘড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক যন্ত্র, যা আমাদের প্রাচীনকালের সময় পরিমাপ পদ্ধতি সম্পর্কে জানায়। যদিও আধুনিক যুগে সূর্যঘড়ির ব্যবহার অনেক কমে গেছে, তবে এটি এখনও একটি আকর্ষণীয় এবং শিক্ষামূলক যন্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur News: খানজাপুরের সূর্য ঘড়ি আজও মনে করিয়ে দেয় অতীতের দিনগুলি, কারণ জানলে অবাক হবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল