ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জিনিসের উপর ফুটিয়ে তোলেন নানান ছবি। কখনও আবার পালকের উপর ঠাঁই পায় বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষদের প্রতিকৃতি। বাইক সারানো পেশা হলেও, প্রান্তিক এলাকার এই যুবকের নেশা অবাক করবে সকলকে।
আরও পড়ুন : পুরনো বই, খাতার অবশিষ্টাংশই তারঁ ক্যানভাস! মমতা’র স্পর্শে ম্যাজিক দেখায় ছবি
advertisement
ছোট থেকেই শিল্পকে ভালবাসা তার। প্রতিদিন শিল্পের মধ্যে দিয়ে নতুন কিছু করার ভাবনা বারবার ভাবিয়ে তুলত তাকে। একের পর এক ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা এবং শিল্পে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার এনে দিয়েছে সম্মান। সবার কাছে করেছে প্রতিষ্ঠিত। পেশাগতভাবে শুধু যে গ্যারেজে কাজ করা তা নয়, শিল্পের নানা আবিষ্কার মুগ্ধ করেছে সকলকে।পেট চালাতে গ্যারেজ সামলাতে হলেও তার সৃষ্টিশীলতা অবাক করবে আপনাকে।
আরও পড়ুন : তিলপাড়া জলাধার সংস্কারে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় জল কমিশনের! কবে খুলবে রাস্তা?
যেমন তার মেকানিকের কাজে শিল্প নিপুণতা। যত্ন সহকারে সারিয়ে তোলেন বিভিন্ন মোটরসাইকেল, তেমনই আবার রাত জেগে রং তুলির আঁচড় কেটে ফুটিয়ে তুলে নানান ছবি। কখনও মসুর ডালে, আবার কখনও চালের উপর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। পেয়েছেন সম্মান। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের শিল্পী প্রসেনজিৎ কর। গ্রামে থেকে দিনের পর দিন হাড় ভাঙা খাটুনির পর রাতে চলে তার শিল্প কর্ম।
প্রসেনজিৎ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মাইক্রো আর্ট এর কাজ করছেন তিনি। মিনিয়েচার আর্টে এসেছে নানা সম্মান। কখনও পেন্সিলের শিশ কেটে নানা ছবি, প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন প্রসেনজিৎ। কখনও আবার পালকের উপর ফুটিয়ে তুলেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি থেকে ক্রিকেটের গৌরব সৌরভ গাঙ্গুলীকে, আবার চালের দানার উপর সপরিবারে দশভূজার ছবি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সারাদিন কাজের পর পরিবার সামলে উঠে চলে ছবি আঁকার কাজ। অবসর সময়ে ছবি আঁকেন। চক কেটে নানা প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা কিংবা পেন্সিল কার্ভিং এর মধ্য দিয়ে নানান মনীষীর মূর্তি বানিয়েছেন তিনি। নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং শিল্পসত্ত্বাকে কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছেন তিনি। মিনিয়েচার আর্ট ও পালকের উপর নানা ছবির কারণে প্রসেনজিৎ পেয়েছেন নানা বুক অব রেকর্ডস এর সম্মান। আগামীতে নিত্যনতুন শিল্পধারাকে বহমান রাখতে চান শিল্পী। গ্যারেজে কাজের পাশাপাশি তার নতুন ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।