“ইউ বেঞ্চ ক্লাস রুম” বা U-আকৃতির শ্রেণীকক্ষ হল শ্রেণীকক্ষের একটি নকশা, যেখানে বেঞ্চগুলি U অক্ষরের মতো করে সাজানো থাকে । এই পদ্ধতিতে, শিক্ষক শ্রেণীকক্ষের মাঝে বসতে পারেন এবং সকল শিক্ষার্থীকে সমানভাবে দেখতে ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন । এর ফলে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদান এবং শিখন প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয় ।
advertisement
আরও পড়ুন: দিনে দুপুরে একি কাণ্ড…! অতিরিক্ত জেলাশাসকের বাড়িতে বৃদ্ধা মাকে একা পেয়ে যা করল দুষ্কৃতীরা
সালকিয়া বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ে গত প্রায় একমাস সময় ধরে ইউ বেঞ্চ ক্লাস রুম চলছে। এই ইউ আকৃতির বেঞ্চের ধারণাটি এসেছে মূলত “নো ব্যাকবেঞ্চার” মডেল থেকে। যেখানে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের বসার ধরণে পরিবর্তন এনে সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। অনেক স্কুলেই এখন এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। যেখানে শিক্ষকরাও ক্লাসরুমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়ান, যাতে সকল শিক্ষার্থীকে ভালভাবে নজরে রাখা যায়।
‘ইউ বেঞ্চ ক্লাস রুম’-এর মাধ্যমে সকল ছাত্রছাত্রীকে সামনে বসিয়ে তাদের মধ্যে ভাল বা খারাপ পড়ুয়ার বৈষম্য দূর করা যাচ্ছে। পাশাপাশি পড়াশোনায় তাদের আগ্রহ বাড়ানো যাচ্ছে | এখন ক্লাসরুমের মাঝে শিক্ষক বসেন। আর তাঁকে ইউ আকারে তিনদিক ঘিরে বেঞ্চে বসে পড়ুয়ারা। ফলে এখন কোনও শ্রেণীকক্ষে ব্যাক বেঞ্চ বা সামনের বেঞ্চ বলে কিছু নেই। এখন সবাই সামনের সারিতেই বসছে বলে জানালেন সালকিয়া বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা সংযুক্তা দে।
আরও পড়ুন: বিনে পয়সায় মিলবে ওষুধ! হাওড়ায় চালু হল ‘ওষুধ ব্যাঙ্ক’, কারা পাবেন পরিষেবা?
সাধারণত যেকোনও ক্লাসে মনোযোগী ছাত্রছাত্রীরা সামনের বেঞ্চে বসে। আর যারা তুলনায় ফাঁকিবাজ বা পড়াশোনায় অমনোযোগী তাদের পিছনের বেঞ্চে বসার প্রবণতা বেশি থাকে। অনেকে পিছনে বসে গল্প করে। তাতে বাকিদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। সেই কারণে এবার ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে বসার ধরন বদলে ফেলা হয়েছে বলে জানালেন সালকিয়া বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শুভজিৎ গুপ্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ‘ইউ বেঞ্চ ক্লাস রুম’ -এর ফলে শিক্ষক ও ছাত্রদের সম্পর্ক ভাল হলে পড়ুয়াদের ভয় কাটবে। পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে| এই পদ্ধতিতে ব্যাপক সাড়া মিলছে। সাধারণত, প্রথম বেঞ্চে বসা নিয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। পড়াশোনায় দুর্বলরা প্রথম বেঞ্চে বসতে চায় না। পিছনের বেঞ্চে বসা ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের দূরত্ব তৈরি হয়। নতুন এই পদ্ধতিতে ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে, এমনটাই জানালেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিজিৎ কোলে। শিক্ষক ও শিক্ষিকারা ক্লাসরুমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে পারছেন, সকলের কাছেই সহজে পৌঁছে যেতে পারছেন। এই স্কুল থেকে ব্যাকবেঞ্চের ধারণা উঠে যাওয়ায় স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকরা সকলেই খুশি।
রাকেশ মাইতি





