তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, “অন্যান্য বছর তারাপীঠ মন্দির চত্বরে জায়গা কম থাকার কারণে একটা ঘিঞ্জি পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তবে এই বছর তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ মন্দির চত্বরে একাধিক কাজ করেছে। নির্দিষ্ট লাইনের মধ্যে ভক্তরা প্রবেশ করে মা তারার দর্শন করতে পারছেন এছাড়াও খোলামেলা পরিবেশ রয়েছে তারাপীঠ মন্দির চত্বর জুড়ে।”
advertisement
তিনি আরও জানান প্রত্যেক বছর যেমন একটি নির্দিষ্ট লাইন দিয়ে ভক্তদের মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে তারপর আবার বাইরে বের করে দেওয়া হয় এই বছরও ঠিক একই ব্যবস্থা থাকবে। অন্যদিকে একটি নির্দিষ্ট ভিআইপি লাইন দিয়েও ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। পাশাপাশি মন্দিরের সামনে নাটমন্দির থেকেও মা তারার দর্শন করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ ৪০০০ টন চওড়া পেটের ইলিশ শহর, শহরতলির বাজারে! রবিবার বাজারে কেজিতে কত উঠবে দর? দাম কমে কিন্তু অর্ধেক
প্রত্যেক বছর এই কৌশিক আমাবস্যার দিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে তারাপীঠ মন্দির চত্বরজুড়ে। এই অতিরিক্ত পরিমাণে ভিড় সামাল দিতে মন্দির কমিটির তরফ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হবে। গোটা তারাপীঠ চত্বরজুড়ে প্রায় ১৮০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। এছাড়াও মন্দির চত্বরে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি তারাপীঠ মন্দিরের ঠিক পাশেই করা হবে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা রক্ষীরা মন্দিরের ওপর নজর রাখবেন। এক কথায় সব মিলিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা তারাপীঠ এলাকা জুড়ে চলছে কৌশিক আমাবস্যার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে গোটা তারাপীঠ।