এ বছর তাদের থিম পশ্চিম মেদিনীপুরের ভগ্নপ্রায় নাড়াজোল রাজবাড়ি। তার সঙ্গে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা ভৌতিক পরিবেশের রূপ দিয়েছে এই পুজো মণ্ডপকে। কোথাও ঝুলছে নর কঙ্কাল , আবার কেউ দেওয়ালের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে। থার্মোকল, মাটি দিয়ে তৈরি এই সমস্ত পুতুলগুলি যেন অশরীরিদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করছে। ভিতরে প্রবেশ করলে প্রথমে মনে হবে কোনও ভুতুড়ে প্রাসাদে চলে এসেছেন। এমনই রোমহর্ষক পরিবেশের মাঝে রয়েছেন দেব সেনাপতি কার্তিক। যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা বাজেটে সেজে উঠেছে এই দেশবন্ধু ক্লাবের পুজো মন্ডপ।
advertisement
আরও পড়ুন : জেলে বসে জমে উঠেছিল দোস্তি, ছাড়া পেয়ে দুজনেই হয়েছিল কেপমারির ‘ওস্তাদ’! ফিরে যেতে হল পুরনো ঠিকানা
এই বিষয়ে দেশবন্ধু ক্লাবের সম্পাদক সোমনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন,”এ বছর আমাদের দেশবন্ধু বয়েজ ক্লাবের পুজো ৩৮ বছর পূর্ণ হল। এ বছর আমরা পশ্চিম মেদিনীপুরের ছয়শো বছরের পুরানো, ভগ্নপ্রায় নাড়াজোল রাজবাড়ীর আদলে আমাদের এই মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রচুর দর্শনার্থীরা আসছেন, থার্মোকল মাটির পুতুল দিয়ে সাজানো হয়েছে মন্ডপ। এ বছর আমাদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাজেট রয়েছে। “কাটোয়া শহরের অন্যতম ঐতিহ্য এই কার্তিক লড়াই যে উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠে গোটা কাটোয়া শহর। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পুজো মণ্ডপ রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তার মধ্যে কিছু পুজো মন্ডপে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাবেকিআনার ছাপ, আবার কোথাও রয়েছে অত্যাধুনিক থিমের সাজ। আর তেমনই এ বছরের দেশবন্ধু ক্লাবের পূজা মন্ডপ সেজে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী নাড়াজোল রাজবাড়ীর আদলে, তার সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে হাড়হিম করা এক ভৌতিক পরিবেশের। যা দেখলে রীতিমত গায়ে কাঁটা দেবে। এমনই রোমাঞ্চকর পরিবেশ উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার দর্শনার্থীরা। শুধু উপভোগ নয়, তার সঙ্গে এই রোমহর্ষক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করছেন বহু দর্শনার্থী। সব মিলিয়ে হাজারো থিমের পুজোর ভিড়ে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে কাটোয়ার দেশবন্ধু ক্লাবের এবারের পুজো মন্ডপ।





