TRENDING:

কাটোয়া বিস্ফোরণে মিলল জামাত যোগ!

Last Updated:

কাটোয়া বিস্ফোরণে এবার সামনে এল জেএমবি অর্থাৎ বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদ্দিনের যুক্ত থাকার তথ্য ৷ এর আগেই এই বিস্ফোরণের সঙ্গে খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে মিল থাকার কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কাটোয়া: কাটোয়া বিস্ফোরণে এবার সামনে এল জেএমবি অর্থাৎ বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদ্দিনের যুক্ত থাকার তথ্য ৷ এর আগেই এই বিস্ফোরণের সঙ্গে খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে মিল থাকার কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা ৷
advertisement

খাগড়াগড়ের মতো নাশকতার ছকেই কি বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল কাটোয়ার শ্রীবাটিগ্রামের ক্লাব ঘরে তা নিয়ে সোমবারই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা ৷ ? ? বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখেই প্রশ্ন ওঠে কী বিস্ফোরক ছিল যে একটি কংক্রিটের ঘর ধুলোয় মিশে গেল? কাটোয়ার ক্লাবঘর থেকে উদ্ধার হওয়া শক্তিশালী সকেট বোমার সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর ব্যবহৃত বোমার যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি অফিসারেরা ৷ তবে কাটোয়াতেও কি জঙ্গি যোগ রয়েছে? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে এনআইএ।

advertisement

বিস্ফোরণ স্থল থেকে গতকাল ৩২টি সকেট বোমা উদ্ধার উদ্ধার করে সিআইডি বম্ব স্কোয়াড ৷ বোমাগুলি পরীক্ষার পর তদন্তকারী অফিসাররা জানান, অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই সকেট বোমা ৷ স্থানীয় দুস্কৃতিরা যেধরনের হাতবোমা ব্যবহার করে এটি তার থেকে অনেক শক্তিশালী ৷

এই সকেট বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পটাশিয়াম নাইট্রেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ৷ এমনকি আর্সেনিক সালফাইডও ব্যবহৃত হয়েছে এই সকেট বোমায় ৷ নমুনা দেখে বম্ব স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন তুলো ও রাসায়নিকগুলির সংযোগে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বোমাগুলিকে ৷ ঠিক এই কৌশলেই বোমা তৈরি করে নিষিদ্ধ বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ৷

advertisement

জঙ্গি গোষ্ঠীর কৌশল ব্যবহার করে তৈরি এত পরিমাণ বিস্ফোরক কী কারণে ওই শ্রীবাটিগ্রামের ক্লাব ঘরে জমা করা হয়েছে তা চিন্তায় ফেলেছে তদন্তকারীদের ৷ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চেয়েও শক্তিশালী সকেট বোমা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন সিআইডি ৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কাটোয়ার ওই ক্লাবঘরে বিস্ফোরকগুলি তৈরি করে অন্যত্র সরবরাহের ছক ছিল ৷ কোথাও নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনায় এই প্রস্তুতি চলছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি ৷ খাগড়াগড়ের মতো কাটোয়াতেও বিস্ফোরক তৈরি জেএমবি কৌশলের মিল পাওয়ায় জঙ্গিযোগ নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে ৷

advertisement

মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিস্ক্রিয় করছেন বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা ৷ আজ প্রথমে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয় ৷ আবারও কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা ৷ এরপরে সাবধানতার সঙ্গে দফায় দফায় পাঁচটি করে বোমা নিস্ক্রিয় করা হচ্ছে ৷ বিস্ফোরক দিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয় ৷

প্রতিনিয়ত, পুলিশের খোঁচা খেয়ে ডেরা বদলাচ্ছে বাংলাদেশি জঙ্গিরা। নতুন নতুন ডেরা বানানো এই মুহূর্তে তাদের লক্ষ্য। মুর্শিদাবাদ থেকে বর্ধমান কেতুগ্রাম-কাটোয়া পূর্বস্থলী হয়ে নদিয়া সীমান্ত বেথুয়াডহরি ধরে চলে যাওয়া যায় বাংলাদেশে। অন্য একটি রুটও রয়েছে মুর্শিদাবাদ খুঁটিসাঁকো মোড় নানুর মঙ্গলকোট কাটোয়া পূর্বস্থলী হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় পথটি অনেক সুবিধাজনক। কারণ মঙ্গলকোট কাটোয়া পূর্বস্থলী থানা পেরিয়ে নদিয়া হয়ে যাওয়া এই রুটে সরাসরি নেই কোনও পুলিশি চেকপোস্ট। যে কারণে অজয়ের বালি মাফিয়ারাও এই রুটটি বেশি ব্যবহার করে। এই রুট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা নিষ্কণ্টক পথ। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময়ও এনআইএ-ও এই দ্বিতীয় পথটি নিয়ে ভাবে। তবে সেই সেফ করি়ডর ধরেই নতুন ডেরা তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে জেএমবি জঙ্গিরা? প্রশ্ন উঠছে।

advertisement

এই রাস্তায় পুলিশি নজরদারি নেই। সহজে বাংলাদেশ যাওয়া যায়। খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃত ইউসুফ কালামের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের বাড়ি এই অঞ্চলেই। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সওকত আলি ওরফে বোমারু মিজানের অনেক সাগরেদই এই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে রয়েছে। স্থানীয় কোনও ইস্যুকে নিয়ে ঢুকে পড়ে গ্রামেগঞ্জে। মাঘ মাসে শ্রীবাটিগ্রামের মেলা বসে। সেই মেলাই কী জঙ্গিদের টার্গেট? কাজেই সবদিক মিলিয়ে সরাসরি জামাত যোগ না থাকলেও, তদন্তের ভাবনায় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বিষয়টি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

সোমবার ভোররাতে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাটোয়া ৷ বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাটিতে মিশে যায় পাকা ক্লাব ঘরটি। ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় শ্রীবাটি স্পোর্টিং ক্লাবের ঘরটি। ভোরবেলা বিস্ফোরণের সময় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় লাল্টু শেখ নামে এক বৃদ্ধের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাটোয়া থানার পুলিশ। ক্লাবের কাছেই, একটি কালভার্ট থেকে উদ্ধার করা হয় ৩২টি সকেট বোমা। বছর দুয়েক আগে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সামনে এসেছিল এরাজ্যে জামাত জঙ্গিদের নাশকতার পরিকল্পনা। কাটোয়ার শ্রীবাটিগ্রামের ক্লাব ঘরে বিস্ফোরণও সেই সন্দেহ উসকে দিল।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কাটোয়া বিস্ফোরণে মিলল জামাত যোগ!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল