রাজস্থানের করণীমাতার মন্দির আজ আক্ষরিক অর্থেই ইঁদুরদের অভয়ারণ্য | লক্ষ লক্ষ ইঁদুর ঘোরাফেরা করে মন্দির প্রাঙ্গণে | এখানে সাদা ইঁদুরের দর্শন পাওয়া মানে মায়ের দর্শন বলেই মনে করেন ভক্তরা। হাওড়ার এই মন্দিরের দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ইঁদুর খোদাই করা রয়েছে | আগামী দিনে হাওড়ার এই করণীমাতার মন্দিরে প্রচুর ইঁদুরের সমাগম হবে বলে আশাবাদী মন্দির কর্তৃপক্ষ |
advertisement
সেই মন্দির এবার নির্মিত হল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় | জানা গিয়েছে, একজন বাঙালি ভদ্রলোক পার্থপ্রতিম পাল এই মন্দিরের জন্য জমি দান করেন | করণী মাতার মন্দিরের ট্রাস্ট বানিয়ে দেড় বছরের চেষ্টায় এই মন্দির নির্মিত হয়েছে | এই মন্দিরের মূল দেবতা করণী মাতা | মার্বেল দিয়ে গোটা মন্দির নির্মিত হয়েছে | কয়েক কোটি টাকায় এই মন্দির নির্মিত হয় | মন্দিরের পাথর রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে | হাওড়ার এই মন্দিরে ভোর ৫ টায় মায়ের মঙ্গলারতি হয় | সকাল ১০ টায় মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়, তখন আরতি হয় | আবার বিকেল ৬ টায় মায়ের আরতি হয় |মায়ের ভোগ হয় মূলত আটার হালুয়া | বছরে দুবার এই মন্দিরে নবরাত্রির পুজো অনুষ্ঠিত হয় |এই মন্দিরের বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন মন্দিরের ট্রাস্টি কমিটির সদস্য নির্মল শেঠিয়া যার বাড়ি রাজস্থান, বর্তমানে তিনি কলকাতাতেই থাকেন |
আরও পড়ুন : অনুপ্রাসে সাজানো পালাগান, ২০০ বছর পর ফিরল দাশু রায়ের পাঁচালি
প্রতিদিন সকাল থেকেই মন্দিরের পুজো পাঠ শুরু হয়। সকাল থেকে সারাদিন রাত ৯-১০ পর্যন্ত ভক্তদের জন্য খোলা থাকে মন্দির। ভক্তরা নিজেদের মতো করে পুজো দিতে পারেন এখানে।এখানে প্রধান প্রসাদ হল আটার পায়েস।বাংলায় করণী মাতার এত বড় মন্দির অদ্বিতীয় বলে জানালেন মন্দিরের ট্রাস্টি কমিটির আর এক সদস্য সঞ্জু খান |