জামালপুরের অধিবেশন মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “দেখেছেন তো কর্নাটকে। বেলুন ফুস। ১৫ দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে বলেছিলেন না, দিদি ২০২৫ মে আপকা সরকার ফুস হো জায়গা। ১৫ দিনের মধ্যে বিধির বিধান, কর্ণাটকে ডবল ইঞ্জিন মায়ের ভোগে। ডবল ইঞ্জিন সরকার… ২০২১-এ বাংলা যে পথ দেখিয়েছিল তা অনুসরণ করে আজকে কর্ণাটকের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ২০২৪ এ সারা দেশ দেবে। বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। পতন অনিবার্য কেউ আটকাতে পারবে না। খুঁটি পুজোটা একুশে বাংলায় হয়েছিল। দশমীটা চব্বিশে দিল্লিতে হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার বাজার বন্ধ, শুরু ভালবাসার দোকান’, কর্ণাটকের ফলে প্রতিক্রিয়া রাহুলের
গতকাল কর্ণাটকের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস শিবির চড়া সুরে আক্রমণ করছে বিজেপিকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার করে বলেছিলেন আমাদের ইগো নেই৷ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এখানে লড়াই থাকলেও, কর্ণাটকের মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুক৷ ধর্মের সুড়সুড়ি, লাভ জিহাদ, মানুষ কী খাবে আর খাবে না তা ভোটের প্রচার হতে পারে না। ধর্মের নামে মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে৷ বাংলায় ২০২১ সালে অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে দেয় বাংলা। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করা শিখিয়েছিল। এদের পতন শুরু হয়েছে৷ ৪০% কমিশন খেয়ে কর্ণাটকের বারোটা বাজিয়েছে৷ ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে ক্ষমতায় সেখানে মানুষ প্রত্যাখ্যান করল কেন? ওটা ডাবল ইঞ্জিন নয়, ট্রাবল ইঞ্জিন৷’
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার কাজ দেখে আর ফেরা হল না, মেমারিতে মর্মান্তিক পরিণতি তৃণমূলের শুভেন্দুর!
অভিষেকের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটা কথার বাস্তবায়ন হয়নি৷ মানুষ ধর্ম, বিভাজনের রাজনীতি চায় না৷ মানুষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি চায়৷ বিজেপির দ্বি-চারিতাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মানুষ৷ বাংলায় যেমন ল্যাজেগোবরে করেছিলাম। কর্ণাটকও তাই করেছে৷ আমরা চাই অ্যান্টি বিজেপি ভোট যেন ভাগ না হয়ে যায়৷ আমরা চাই সর্বশক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার। অনেক বিধানসভায় ওদের খারাপ ফল হয়েছে৷ বিজেপি হারলে নাড্ডার ছবি৷ জিতলে মোদির ছবি। যা কিছু হারায়, তখনই বলে কেষ্ট ব্যাটাই চোর৷ বিজেপির কেষ্ট জেপি নাড্ডা৷ বিজেপি দল হাইকমান্ড আর রিমোট কন্ট্রোলের কথা বলে৷ ওরা রিমোটে দল চালায়।’
আবীর ঘোষাল