আরও পড়ুন: ‘ফাইনাল কলকাতা-ওয়াংখেড়ে হলে আমরাই জিততাম,’ বিশ্বকাপ নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া গ্রামের কাঁসা শিল্প জগৎবিখ্যাত। এই গ্রামের কারিগরদের পূর্বপুরুষের আমল থেকেই হয়ে আসছে কাঁসার থালা বানানোর কাজ। প্রথমে চুল্লিতে গলিয়ে নেওয়া হয় কাঁসা। তারপর অর্ধ গোলাকৃতি আকারের কাঁসার টুকরোগুলিকে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে কিংবা মেশিনে চাপ দিয়ে থালার আকার দেওয়া হয়। তারপর সেই ঘোলাটে থালাটি পালিশ করার মেশিনে রেখে কুড়ে কুড়ে আনা হয় চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বলতা।
advertisement
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কাঁসার দাম তুলনামূলকভাবে কমছিল। তখন রমরমা ছিল কাঁসার বাজারের। তারপর মূল্যবৃদ্ধির জন্য কাঁসার দাম বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে কাঁসার বাসন থেকে দূরে সরতে থাকে মানুষ। অন্নপ্রাশন এবং অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়া ছাড়া কাঁসার বাসনের চাহিদা কমেছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নবদ্বীপে যায় অধিকাংশ কাঁসার বাসন। তারপর মহাজনরা সেখান থেকে ডিস্ট্রিবিউট করেন বাসনগুলি। বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী কেঞ্জাকুড়া গ্রামে এখনও কাঁসা শিল্প জীবিত রয়েছে পুরোদমে। ভাল গুণগত মানের কাঁসার বাসন পেয়ে যাবেন এখানে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার আরও একটি বিখ্যাত জিনিস হল এখানকার অতিকায় জিলিপি। এই গ্রাম বিখ্যাত মুড়ির মেলা এবং কাঁসা শিল্পের জন্যও। শীতে বউ মানুষ এই গ্রামে ঘুরতে আসেন। বাঁকুড়া শহর থেকে সর্পিল এবং গাছ গাছালিতে ঘেরা রাস্তা অনুসরণ করে যদি কেঞ্জাকুড়া আসেন তবে নিজে যাচাই করে কিনতে পারবেন সর্বোচ্চ মানের কাঁসার বাসন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী