বর্তমানে অতীতের ঐতিহ্য আর কৌলিন্য কোনওরকমে বজায় থাকলেও, নব্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাঁসা-পিতল শিল্পের অস্তিত্বও চরম সঙ্কটের মুখে। বর্তমানে সময় বদলেছে। তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে বদলে গিয়েছে আধুনিকতার সংজ্ঞা। তাই কাঁসা-পিতলের বিকল্প হিসেবে জায়গা দখল করে নিয়েছে ফাইবার, স্টেইনলেস স্টিল, অ্যালুমিনিয়ম, কাঁচ, চিনেমাটি ও সিরামিকের তৈরি আধুনিক হাল ফ্যাশনের বাসনপত্র।
আরও পড়ুন : দিঘা ছেড়ে এবার পর্যটকরা ছুটবেন ফ্রেজারগঞ্জ! নতুন রাস্তা, মিউজিয়াম সহ একগুচ্ছ উপহার! চলছে বিরাট পরিকল্পনা
advertisement
নব্য আধুনিকতার ধাক্কায় সঙ্কট নেমে এসেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কাঁসা-পিতল শিল্পেও। যারা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তারা আজকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আর বাকিরা অসুবিধা নিয়েও বংশানুক্রমিকভাবে এই শিল্পের সঙ্গে টিঁকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বর্তমানে চাহিদার অভাবে বিলুপ্তির মুখে মুর্শিদাবাদের জগৎবিখ্যাত কাঁসা শিল্প। এক সময়ে জগৎজোড়া সুখ্যাতি থাকলেও, চাহিদা আর আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে এখন ধুঁকছে মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত কাঁসা শিল্প। জেলার বহু শিল্পী তাই কাজ হারিয়ে পেটের টানে বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আর হাতে গোনা কয়েক জন যারা এখনও বাপ-ঠাকুরদার আমলের এই ঐতিহ্যকে কোনওরকমে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাঁদের অবস্থাও ক্ষীয়মান। তারা কয়েকজন এখন হাতের কাজ করেই সংসার চালান। সরকারি কোনও রকম সাহায্য মিললে টিকে যেতে পারে প্রাচীন কালের এই ঐতিহ্যশালি নবাবী আমলের কাঁসা শিল্প।’ মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজার, বহরমপুর, লালবাগে এক সময় রমরমিয়ে ছিল প্রাচীন এই গ্রামীণ কাঁসা শিল্পের বাজার। যা আজ তা ক্রমশ ছোট হয়ে এসেছে। সামান্য কিছু এলাকাতেই এখন জীবিত জেলার এই প্রাচীন কাঁসা শিল্প।





