পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ঝাড়গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডুলুং নদী। নদীর তীরে গভীর জঙ্গলের মধ্যে কনকদুর্গা মন্দির। দেবী এখানে অশ্বারোহিণী চতুর্ভুজা। অষ্টধাতুর এই মূর্তি ঘিরেই জমে ওঠে দুর্গাপুজো। শহুরে কোলাহল থেকে বহু দূরে কনকদুর্গার অবস্থান। প্রাচীন রীতিতে হয় ব্যতিক্রমী আড়ম্বরহীন , ঝাঁ-চকচকেহীন পুজো।
আরও পড়ুন : গোস্বামী বাড়িতে ৩৫০ বছরের প্রাচীন পুজোয় জৌলুস কমলেও অটুট নিষ্ঠা
advertisement
ইতিহাস বলে, চিলকিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ তৈরি করেন এই মন্দির। স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্ত্রীর হাতের কাঁকন দিয়ে মূর্তি তৈরি করান তিনি। স্থানীয়রা বলেন, আগে নাকি এখানে নরবলি হত। দেবীর নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বলি আজও হয়। পাঁঠাবলি। অষ্টমীর রাতে। মন্দিরের পাশে গভীর জঙ্গলের মধ্যে। নিশা পুজোয় অংশ নেন শুধুমাত্র রাজ পরিবারের সদস্যই।
আরও পড়ুন : 'বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার' শিব মন্দির! ভারতের অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যে মুগ্ধ নরওয়ের কূটনীতিক
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নেয় কনকদুর্গা মন্দির। মন্দির লাগোয়া রয়েছে বিশাল ভেষজের জঙ্গল। পরিচর্যার অভাবে দামী দামী ওষুধের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমানে গাছের রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়েছে রক্ষী। তৈরি হয়েছে চেকপোস্ট। ভগ্নপ্রায় চিলকিগড়ের রাজবাড়ি ও কনকদুর্গা মন্দিরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী । পুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে পুরো এলাকা।পুজোর সময় বহু পর্যটক ভিড় জমান ঝাড়গ্রামে। তাঁরা আসেন এই পুজো দেখতে। বিশেষ করে নবমীর প্রসাদ পেতে ভক্তদের ভিড় জমে যায়। জঙ্গলমহলের এই পুজো, গল্প শোনায় এই স্থানের ইতিহাসের।