তবে উদ্বোধনের আগের দিন শুরু হল তরজা। রেলের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই উদ্বোধন করা হচ্ছে ওভারব্রিজ। যদিও এই প্রকল্পে তারা বেশি টাকা দিয়েছে। উল্লেখ্য, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে কামারকুণ্ডু রেলগেটে যানজটের কারণে ২০১৬-র নভেম্বর থেকে কামারকুণ্ডু ওভারব্রিজের কাজ শুরু হয়। প্রায় ১০ মাস আগেই ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা চালু হয়নি। ফলে নিত্য ভোগান্তি অব্যাহত ছিল সাধারণ মানুষের। এরই মধ্যে গ্ৰামবাসীরা আবার সাবওয়ের দাবিতে সরব হন। রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না গ্ৰামবাসীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এদিন সাবওয়ে তৈরির জন্য রেল দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই উড়ালপুল চালুর ক্ষেত্রে জটিলতার সমাধান করে অবিলম্বে উড়ালপুল চলার ঘোষণা করেন রেল আধিকারিকরা।
advertisement
তবে উদ্বোধনের আগেই সেতু নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। রেলের বক্তব্য, আগামিকাল চালু হবে কামারকুন্ডু রেল ওভার ব্রিজ। ব্রিজ উদ্বোধনে ডাক পায়নি রেল। রেলের দাবি, তারা রাজ্যের থেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। দু'বার রেলের তরফে জেনারেল ম্যানেজার ও ডি আর এম চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্য সচিবকে রেল ওভার ব্রিজ উদ্বোধন চেয়ে। যদিও রাজ্য তাদের কয়েকদিন পরে করবে জানায়। আজ, বৃহস্পতিবার রেল সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছে ব্রিজ উদ্বোধন হবে। সেখানে আমন্ত্রণ পায়নি বলে অভিযোগ রেলের। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, '' আজকেও রেলের তরফে জেলাশাসককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি আগামিকাল ব্রিজ উদ্বোধন হবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী করবেন। যেহেতু আমাদের শেয়ারে ও সহযোগিতায় এই ব্রিজ করা হয়েছে, তাই আমারাও এই সেতু উদ্বোধনে থাকতে চাই।''
এই রেল ওভারব্রিজ রাজ্য ও রেলের যৌথ উদ্যোগে সম্পন্ন হয়েছে। এই ওভারব্রিজের উদ্বোধনে রেলের তরফে ৬০% ও রাজ্যের তরফে ৪০% অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এই রেল ওভার ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪৬ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। রেলের তরফে দেওয়া হয়েছে ২৬ কোটি ০৭ লক্ষ টাকা। রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়েছে ১৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া, রেল সেখানে চালু করছে একটা সাবওয়ে৷ কারণ রেল ওভারব্রিজ চালু হয়ে যাওয়ায় সেখানে রেলের নিয়মানুযায়ী লেভেল ক্রসিং গেট থাকবে না। সাধারণের দাবি অনুযায়ী, সেখানে একটা সাবওয়ে হবে। সেই সাবওয়ে তৈরিতেই ৬ কোটি টাকা দেবে রেল। তবে লেভেল ক্রসিং রাখার দাবি জানাচ্ছে স্থানীয়দের একাংশ। রেলের বক্তব্য, এই লাইন দিয়ে দুটি রাজধানী, দুটি দুরন্ত আর একটি শতাব্দী যাতায়াত করে৷ লেভেল ক্রসিং চালু হলে রেলের গতি কমবে।
Abir Ghoshal