দু'দিন পরই রাখি পূর্ণিমা। আমাদের রাজ্যে যে রাখি তৈরি হয় তার একটা বড় অংশই তৈরি হয় কালনায়। বহু মহিলা রাখি তৈরি করার মধ্য দিয়ে অর্থ রোজগারের একটা দিশা খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা জানালেন, রাখিতে বৈচিত্র্য অনেক। ছোট বড় সব ধরনের রাখিই এখানে তৈরি হয়। অনেকে সরঞ্জাম বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখি তৈরি করেন। অনেকে তৈরি করেন এক সঙ্গে বসে। সারা বছর ধরেই কাজ চলে। তবে রাখি পূর্ণিমার দু মাস আগে থেকে এই কাজ গতি পায় বেশি। এখন কাজ শেষ পর্যায়ের।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমানের শশাঙ্ক জলাভূমিকে নবরূপে ফিরে পেতে চান বাসিন্দারা
রাখি ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাখি এখন অনেক আধুনিক হয়েছে। রং ও ডিজাইনে বৈচিত্র্য এসেছে সব ধরনের রাখিতেই। ময়ূর রাখি তৈরি করতে বাড়তি কারিগর লাগে। সাত থেকে কুড়িটি অংশকে একসঙ্গে জুড়ে এই রাখি তৈরি করতে হয়। কম বেশি সব দামেরই ময়ূর রাখি আছে। চাহিদা থাকায় এবার এই রাখিই বেশি তৈরি করতে হয়েছে।
রাখি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা বলেন, ''করোনার কারণে আগের বছরগুলোতে চাহিদা কম ছিল। কিন্তু এবার বাজার ভাল। আমাদের মতো অনেকেই ঘরে বসে এই রাখি তৈরির কাজ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন।
আরও পড়ুন: বর্ধমানের আলমগঞ্জ বারোয়ারিতে অনুষ্ঠিত হল খুঁটিপুজো, এ বছরের থিম রাজস্থানী শিল্প
দু'দিন পরেই রাখি বন্ধন উৎসব। তাই রাখি তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। এই রাখিই চলে যাচ্ছে বিভিন্ন মার্কেটে। ট্রেনে, সড়ক পথে কলকাতা যাচ্ছে রাখি। সেখান থেকে তা আবার রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।