প্রতারিত চার যুবক সঞ্জু রায়, সূর্য জয়ধর, শুধন্য মণ্ডল ও অরূপ গাইন সকলেই নাদনঘাট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। সঞ্জু রায় জানিয়েছেন, রবিবার সকালে দুই ব্যক্তি একটি মোটরবাইকে চেপে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। নিজেদের পরিচয় দিয়ে জানান, কালীপুজোর আগে ফুল ও বেলপাতা সংগ্রহের জন্য কিছু লোকের দরকার। অল্প কাজ, মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে। এরকম প্রলোভন দেখিয়ে বলেন, প্রতি শ্রমিককে ৩০০ টাকা মজুরি দেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : দুর্ভিক্ষে গ্রামবাসীদের অন্ন-বস্ত্র জোগাতে ডাকাতি, ব্রিটিশ পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে পুজো শুরু ‘এই’ কালীর
প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় সঞ্জু ও তাঁর তিন বন্ধু। এরপর ওই দুই ব্যক্তি তাদের নিয়ে যায় নাদনঘাটের কলাবাগান এলাকার অঙ্গওয়াড়ি স্কুল সংলগ্ন বাগানে। সেখানে বেশ কিছু আম ও বেলগাছ ছিল। প্রতারকরা গাছগুলির দিকে দেখিয়ে বলে, এই গাছগুলি থেকে আমের শাখা ও বেলপাতা পাড়তে হবে, দেড় টাকা করে পিস দেব। স্থানীয় এক মহিলার কাছেও তারা গাছের মালিকানা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে যেন কাজটা একেবারে বাস্তব মনে হয়। সঞ্জু বলেন, “আমরা ওদের সন্দেহ করিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গাছে ওঠার সময় পকেটে ফোন রাখলে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই ফোনগুলি এক জায়গায় নামিয়ে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি ফোন নেই, লোক দু’টোও গায়েব!” চার যুবকেরই মোবাইল ফোন উধাও হয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এরপরই ওই চারজন নাদনঘাট থানায় ছুটে গিয়ে অভিযোগ জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগে এই ধরনের প্রতারণা এলাকায় এই প্রথম ঘটল। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।