তাই নিশ্চিহ্ন হতে বসা কালনার শহরের ডাঙাপাড়া এলাকার সমাজবাড়ি বাঁচাতে সক্রিয় হয়েছে মহকুমা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে অবিলম্বে কাজ বন্ধ করার নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্দির চত্বরে। পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির মধ্যে সমাজবাড়ি অন্যতম। বহু ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করা প্রাচীন এই নিদর্শনটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। ইতিহাস বলছে ১৮৩০-এ বর্ধমান রাজা মহাতাব চাঁদ সমাজবাড়ি নির্মাণ করেন। সেখানে গড়া হয় তেজচাঁদ এবং তাঁর স্ত্রী কমলকুমারীর স্মৃতিমন্দির।
advertisement
আরও পড়ুন : বাঘের খাঁচায় বন্দি সন্তান, চিতা ঘুরছে স্বাধীনভাবে! চা পাতা তুলতে নামলেই ভয়, ডুয়ার্সে নজিরবিহীন আতঙ্ক
একটি মন্দিরে ১৭টি চূড়া রয়েছে। অন্যটিতে রয়েছে ন’টি চূড়া। ১৯৬৬-এ বর্ধমান রাজ এস্টেটের থেকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্ব পায় বিশ্বাস পরিবার। বহু বছর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথিতে নিদর্শনটি সমাধিস্থল হিসেবে চিহ্নিত ছিল। কিন্তু সমাজবাড়ির উপরে অধিকার কায়েম করতে কয়েক বছর আগে আদালতের দ্বারস্থ হন বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা। আদালতের রায় তাঁদের পক্ষে যায়।
আরও পড়ুন : ডায়েট ভুলে ভুরিভোজ, শাড়ি ‘মাস্ট’! পুজোয় কী কী ‘প্ল্যান’? শেয়ার করলেন রচনা
এরপরেই পরিবারের সদস্যেরা দু’টি মন্দির বাদে সমাজবাড়ির সম্পত্তি বিক্রিতে উদ্যোগী হয়। ইতিমধ্যে একটি অংশ বিক্রিও হয়ে যায়। জায়গা কেনা ব্যক্তি সেই অংশ ভেঙে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন। এরপরই স্থানীয়রা আপত্তি জানালে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। এলাকাবাসীরা জানান, আশেপাশে নির্মাণ হলে মন্দিরের ঐতিহ্য নষ্ট হবে। এই নির্মাণ বন্ধ হোক। কালনা পৌরসভার উপ-পৌরপতি তপন পড়েল তিনি বলেন, পৌরসভায় যে রেজিস্টার বুক আছে, সেখানে সমাজ বাড়িটি শ্মশান বলে উল্লেখ আছে। সেটি বেআইনিভাবে বিক্রি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাঁরা জায়গাটি কিনেছেন, তাঁরা আগামী দিনে কোনও সঠিক কাগজ করাতে পারবেন না। এ প্রসঙ্গে বর্তমানে সমাজ বাড়ি যাঁদের অধীনে রয়েছে, তাঁরা জানান কোনও বেআইনি কাজ হয়নি । তবে বর্তমানে ওই জায়গা কেনা ব্যক্তির দাবি, দাগ নম্বরগুলি দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চা কেন্দ্রের সদস্য তাপস কুমার কারফা বলেন, বিষয়টি খুবই অন্যায় হয়েছে।