TRENDING:

কালনায় শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য! হাতুড়ির কোপে ভাঙছে সমাজবাড়ির মূল ফটক! শেষে যা হল...

Last Updated:

১৮৩০-এ বর্ধমান রাজা মহাতাব চাঁদ সমাজবাড়ি নির্মাণ করেন। সেখানে গড়া হয় তেজচাঁদ এবং তাঁর স্ত্রী কমলকুমারীর স্মৃতিমন্দির।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কালনা, পূর্ব বর্ধমান, নবকুমার রায়:  কালনায় অবস্থিত সমাজবাড়ি এবং সমাজ বাড়ির মধ্যে অবস্থিত আশেপাশের জায়গায় যেকোনও অংশের সংস্কার, পুনর্নির্মাণ, মেরামত, নতুন নির্মাণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের তরফে এমনই নোটিশ লাগানো হয়েছে সমাজ বাড়ির বিভিন্ন অংশে। জমি আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। দু’টি প্রাচীন স্মৃতিমন্দিরও ধ্বংসের পথে। সম্প্রতি কালনার প্রাচীন সমাজবাড়ির মূল ফটকের দেওয়াল ভাঙা শুরু করেছেন কিছু লোক।
কালনা সমাজবাড়ি।
কালনা সমাজবাড়ি।
advertisement

তাই নিশ্চিহ্ন হতে বসা কালনার শহরের ডাঙাপাড়া এলাকার সমাজবাড়ি বাঁচাতে সক্রিয় হয়েছে মহকুমা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে অবিলম্বে কাজ বন্ধ করার নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্দির চত্বরে। পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির মধ্যে সমাজবাড়ি অন্যতম। বহু ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করা প্রাচীন এই নিদর্শনটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। ইতিহাস বলছে ১৮৩০-এ বর্ধমান রাজা মহাতাব চাঁদ সমাজবাড়ি নির্মাণ করেন। সেখানে গড়া হয় তেজচাঁদ এবং তাঁর স্ত্রী কমলকুমারীর স্মৃতিমন্দির।

advertisement

আরও পড়ুন : বাঘের খাঁচায় বন্দি সন্তান, চিতা ঘুরছে স্বাধীনভাবে! চা পাতা তুলতে নামলেই ভয়, ডুয়ার্সে নজিরবিহীন আতঙ্ক

একটি মন্দিরে ১৭টি চূড়া রয়েছে। অন্যটিতে রয়েছে ন’টি চূড়া। ১৯৬৬-এ বর্ধমান রাজ এস্টেটের থেকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্ব পায় বিশ্বাস পরিবার। বহু বছর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথিতে নিদর্শনটি সমাধিস্থল হিসেবে চিহ্নিত ছিল। কিন্তু সমাজবাড়ির উপরে অধিকার কায়েম করতে কয়েক বছর আগে আদালতের দ্বারস্থ হন বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা। আদালতের রায় তাঁদের পক্ষে যায়।

advertisement

আরও পড়ুন : ডায়েট ভুলে ভুরিভোজ, শাড়ি ‘মাস্ট’! পুজোয় কী কী ‘প্ল্যান’? শেয়ার করলেন রচনা

এরপরেই পরিবারের সদস্যেরা দু’টি মন্দির বাদে সমাজবাড়ির সম্পত্তি বিক্রিতে উদ্যোগী হয়। ইতিমধ্যে একটি অংশ বিক্রিও হয়ে যায়। জায়গা কেনা ব্যক্তি সেই অংশ ভেঙে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন। এরপরই স্থানীয়রা আপত্তি জানালে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। এলাকাবাসীরা জানান, আশেপাশে নির্মাণ হলে মন্দিরের ঐতিহ্য নষ্ট হবে। এই নির্মাণ বন্ধ হোক। কালনা পৌরসভার উপ-পৌরপতি তপন পড়েল তিনি বলেন, পৌরসভায় যে রেজিস্টার বুক আছে, সেখানে সমাজ বাড়িটি শ্মশান বলে উল্লেখ আছে। সেটি বেআইনিভাবে বিক্রি করা হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

তিনি আরও বলেন, যাঁরা জায়গাটি কিনেছেন, তাঁরা আগামী দিনে কোনও সঠিক কাগজ করাতে পারবেন না। এ প্রসঙ্গে বর্তমানে সমাজ বাড়ি যাঁদের অধীনে রয়েছে, তাঁরা জানান কোনও বেআইনি কাজ হয়নি । তবে বর্তমানে ওই জায়গা কেনা ব্যক্তির দাবি, দাগ নম্বরগুলি দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চা কেন্দ্রের সদস্য তাপস কুমার কারফা বলেন, বিষয়টি খুবই অন্যায় হয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কালনায় শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য! হাতুড়ির কোপে ভাঙছে সমাজবাড়ির মূল ফটক! শেষে যা হল...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল