পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ ব্লকের দত্তদ্বারিয়াটন গ্রামে ছিল স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক ভিটে। ঘর-দালান কিছু না থাকলেও পড়েছিল প্রায় ৪৪ শতক জমি। ওই জমি ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবি উঠছে গত পাঁচ দশক ধরে। স্থানীয় মানুষজনের আশা, ওই জমিতে বিবেকানন্দের স্মৃতি পাঠাগার সংগ্রহশালা তৈরি করা হোক। তাতে বিবেকানন্দের স্মৃতি, আদর্শ রক্ষা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা থেকে তিল তিল করে জমানো অর্থেই পূজিতা পৌষলক্ষ্মী
কালনা শহরের কাছে দত্তদ্বারিয়াটন গ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় তাঁদের পৈতৃক জমিটি রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনেক বছর আগে ওই জমিতে মন্দির ছিল। তবে সংস্কারের অভাবে সেটি খণ্ডহরে পরিণত হয়। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে হেরিটেজ কমিশনে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল তবে তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সেখানে বিবেকানন্দের একটি মূর্তি বসানো হয়েছিল। তাদেরই উদ্যোগে এবং পঞ্চায়েতের সহায়তায় ওই পৈতৃক জমিতে থাকা ভগ্নপ্রায় মন্দিরটি নতুন করে সংস্কার করা হয়। তার সঙ্গেই চলছিল জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন : সূর্যাস্তের পর ভরসা লম্ফ শিখা, নবান্ন থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে এখনও বিদ্যুৎহীন মানুষ
জানা যায়, বেলুড়ের বাসিন্দা গৌতম ঘোষ এবং সুকান্ত ঘোষ ওই জমিটির মালিক। দত্ত পরিবারেরই আত্মীয় তাঁরা। একটি সংস্থা মারফত জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনকে হস্তান্তর করার প্রস্তাব আসে। রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে ওই জমিতে একটি আন্তর্জাতিক মানের গ্রন্থাগার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে থাকবে বিবেকানন্দের লেখা ও তাঁকে নিয়ে লেখা নানা বই। বর্ধমান রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক জানান, শিক্ষামূলক কিছু করারই লক্ষ্য থাকবে।