কয়েকমাস আগে থেকে নয়, কালনার চেনম্যানের প্রথম খুন ৬ বছর আগে। পুলিশি জেরায় কামরুজ্জামান সরকার জানিয়েছে,সে প্রথম খুন করে ২০১৩ সালের পয়লা জানুয়ারি। কালনার ধাত্রীগ্রামে৷ এর কয়েকদিন পরেই, ২৭ জানুয়ারি আবার খুন। এবার মন্তেশ্বরের এক মহিলাকে৷ ওই বছরই খুনের উদ্দেশ্যে কালনার নেতাকুলিতে সে ফের হামলা চালায়। কোনওক্রমে বেঁচে যান মহিলা। কিন্তু, একই কায়দায় বেছে বেছে মহিলাদের খুনের কারণ কী? কী উদ্দেশ্যে খুন? এ নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। চেনম্যান কামরুজ্জামানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আগেই মোবাইল ফোন, ইমিটেশন গয়না পেয়েছে পুলিশ।
advertisement
এবার মিলেছে চুরি করা সোনার গয়না বন্ধক রাখার তিরিশটি রশিদ। তা হলে কি চুরির লক্ষ্যে খুন? কিন্তু, চুরিই যদি লক্ষ্য হবে তা হলে মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস কেন? মৃতদেহের যৌনাঙ্গকে ক্ষতবিক্ষত করা কেন?এ সব প্রশ্ন উঠছে বলেই খুনের উদ্দেশ্যে নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার চেনম্যানকে নিয়ে তাঁরা পুনর্নির্মাণে বের হন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কালনার গোয়ারা মল্লিকপাড়ায়। গত ২২ মে, এখানেই এক মহিলাকে সে খুন করেছিল। চেনম্যানকে হাতের সামনে পেয়েক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।
ফেরার সময় গোয়ারা মোড়ে একটি লোহা লক্করের দোকানের সামনে পুলিশকে দাঁড় করায় চেনম্যান। জানায়, ওই দোকান থেকে সে দুবার চেন কিনেছিল। পুলিশ তাকে জেরা করে জানতে চাইছে, আরও কোনও হামলা বা খুন সে করেছে কি না। বোঝার চেষ্টা করছে, কেন বছরের পর বছর ধরে এরকম অপরাধ সে করেছে?