কালনার ডাঙ্গাপাড়ায় সমাজ বাড়িতে থাকতেন উৎপল গুপ্ত ও তাঁর পরিবার। শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ বাড়ির বাইরে বেরোনোর জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে গাড়ির চাবি চান তিনি। জানা গিয়েছে, তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান করতেন এবং এদিনও মদ্যপান করেছিলেন। সেই কারণে তাঁর গাড়ির চাবি তার ছেলে কেড়ে নিয়েছিল।
পরিবারের দাবি, ওই ব্যবসায়ীর ছেলে এক ঘরে শুতে চলে যান এবং স্ত্রীও অন্য ঘরে শুতে চলে যান। কিছুক্ষণ পরই একটা ঝুপ করে আওয়াজ হয়। তারপর ছুটি গিয়ে সকলে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উৎপল গুপ্ত।
advertisement
পরিবারের অভিযোগ, ডাকাডাকি করলেও প্রতিবেশীরা কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।এরপর খবর যায় কালনা থানায়। থানা থেকে তদন্তকারী অফিসার এলে আটক করে নিয়ে যায় ছেলে সায়ন্তিক গুপ্তকে। সন্ধ্যার সময়ে এইরকম রহস্যজনক মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালনা ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গলা কেটে মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর। পাশে রক্তমাখা কাচের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। ভাঙা বোতলে গলা কেটে এই মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে। সে সবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি নিজেই গলা কেটে আত্মঘাতী হলেন নাকি অন্য কেউ তাকে গলা কেটে খুন করল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ঠিক কি ঘটেছিল তা বিশদে তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিবেশীরা কোন মন্তব্য করতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, ওই পরিবারে ইদানিং মাঝেমধ্যেই অশান্তি হতো। কিন্তু তার যে এমন পরিণতি হবে তা আঁচ করা যায়নি। ঠিক কি কারণে পেশায় পাইকারি চানাচুর বিক্রেতা ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ।