প্রথমদিকে বাঁশ ও বিচালির ছাউনি দিয়েই গড়ে ওঠে মন্দির। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইটিন্ডা কলবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠে আজকের পাকা মন্দির, যা এখনও স্থানীয়দের গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। তবে এই মন্দিরের বিশেষত্ব শুধু ইতিহাসে নয়, পুজোর রীতিতেও। অন্যত্র যেখানে দেবীর ভোগে দেওয়া হয় খিচুড়ি, ইলিশ বা নিরামিষ খাসির মাংস, সেখানে ইটিন্ডার সিদ্ধেশ্বরী কালী মায়ের পুজো সম্পূর্ণ হয় না ইছামতীর গলদা চিংড়ি ছাড়া! এই প্রথা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কেজি কেজি সোনার গয়নায় সাজানো, কাটোয়াবাসীর কাছে আবেগ ক্ষেপিমা, দেখুন তাঁর রুদ্ররূপ
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা নদী থেকে যেসব গলদা চিংড়ি ধরেন, সেগুলিই দেবীর ভোগে নিবেদন করা হয়, এ যেন এক অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। মন্দিরকে ঘিরে আরও অনেক রহস্যময় গল্প প্রচলিত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সংগ্রামপুরের দক্ষিণা কালী নাকি সিদ্ধেশ্বরী মায়ের বোন। প্রতি বছর কালীপুজোর সময় এই দুই মন্দিরের দেবীর ‘যাতায়াত’ নিয়েও নানা লোককথা শোনা যায়। মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবীর পায়ের সামনে রয়েছে তিনটি ঘট—যা কালী, শীতলা ও চণ্ডীর একত্রিত প্রতীক বলে মানা হয়।