শহরের মধ্যে গ্রামীণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এই পুজো মণ্ডপে এক অভিনব ভাবনা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে, যা দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের কালীপুজোয় এমনই চিন্তাভাবনা করেছে আসানসোল ট্রাফিক কলোনি পুজো কমিটি। ট্রাফিক জিমনেশিয়াম সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির অন্যতম সদস্য ভিকি প্রসাদ জানান, “আমাদের এই ক্লাবের পুজো প্রত্যেক বছরই আসানসোল শহরের মানুষজনের মধ্যে ভাল সাড়া ফেলে দেয়। বিশেষ করে প্রতিমায় একটা আকর্ষণ থাকে, এবারও অন্যথা হচ্ছে না।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ তিনটি উপাচারে পুজো হয় জাগ্রত এই কালী মন্দিরে, কোথায় আছে এই মন্দির জানেন?
আসানসোল শহরের ট্রাফিক জিমনেশিয়াম সর্বজনীন কালীপুজো কমিটি এবার ৩০ তম বর্ষে পদার্পণ করল। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও তাঁরা মণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমায় বিশেষ চমক নিয়ে আসছে। প্রায় ২ লক্ষ টাকা বাজেটে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে গ্রাম বাংলার পরিবেশ। সেখানে গেলে দর্শনার্থীদের মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্যান্ডেলের ভিতর প্রবেশ করলেই দেখা যাবে গ্রামের মাটির বাড়ির পাঁচিলের উপর খড়ের ছাউনি, রঙ করা মাটির দেওয়াল। পাশাপাশি বাচ্চাদের আকর্ষণ করতে দাঁড়িয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি পুতুল। সব মিলিয়ে, এখানে একেবারে অন্যরকম পরিবেশ তুলে ধরা হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র দিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ, প্লাই, খড়, কুলো, খাচী, পাটের চট, মাটি সহ অন্যান্য জিনিস। এখানে প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। সম্পূর্ণ ডাকের সাজে মা কালীকে সাজানো হয়। এখানকার পুজোয় বিশেষ কিছু রীতিও রয়েছে, যেমন- কালীপুজোর দিন তারাপীঠ থেকে জলের ঘট ভরে নিয়ে আসা হয়, এরপর শুরু হয় পুজো। পুজো শেষে সেই ঘট আবার তারাপীঠের দ্বারকা নদীতে নিরঞ্জন করা হয়। এখনও সেই রীতি চলে আসছে।