এই চার বোন ছাড়াও গোটা গ্রামে রয়েছে শতাধিক কালী। সিদ্ধেশ্বরী, বুড়িমা, ডাকাত কালী, ক্ষ্যাপা মা, আনন্দময়ী মা-সহ নানা নামে মা কালী এখানে পূজিত হন। তাই দুর্গাপুজো নয়, কালীপুজোকে কেন্দ্র করেই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম।
আরও পড়ুন: ‘আরে বালু যে…!’ পাশের সেলেই সব চেনা-মুখ, জেলে জ্যোতিপ্রিয়র ঠিকানা এখন খোরাকের ‘MLA-ব্লক’
advertisement
গ্রামে ঢুকলে প্রথমেই প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার বড়মা-এর দর্শন পাওয়া যাবে। আরও কিছুটা এগোলেই রয়েছেন প্রায় সম উচ্চতার মেজমা। তার আশপাশে রয়েছে সেজমা ও ছোট মা-এর মন্দির। আর এই চার মাকালীকে ঘিরে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে পূজিত হন দেবী কালী। মেমারির আমাদপুর এক প্রাচীন জনপথ। কথিত আছে, পূর্বে এখান দিয়েই প্রবাহিত ছিল বেহুলা নদী। বর্তমানে তা মজে গিয়ে খালের আকার নিয়েছে। এক সময়ে বাণিজ্য তরী যাতায়াত করত এখান দিয়ে। সেই সময় বণিকদের দস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে হত।
আরও পড়ুন: রোজ যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! বয়স অনুযায়ী হাঁটার পরিমাণ আলাদা, কতটা হাঁটবেন জানুন
আমাদপুরে বেহুলা নদীর ধারে ছিল মহাশ্মশান। সেখানে এক সাধু থাকতেন। সেই সাধু শ্মশানে কালীসাধনা করতেন। বণিকরা দস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে এই শ্মশানে কালী মায়ের পুজো দিতেন। শোনা যায়, এর পর থেকেই তাঁরা দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে শুরু করেন। তখন থেকেই এই দেবীর প্রতি বিশ্বাস জন্মায়। মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে।
দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ কালীপুজোর দিনে হাজির হন এই গ্রামে। বিসর্জনের সময়ে বড়, মেজ, সেজ আর ছোটমাকে চতুর্দোলায় করে শোভাযাত্রা বের হয়। সারা রাত গোটা গ্রাম ঘোরানোর পরে ভোর বেলায় বিসর্জন হয়। এই দেবীরা ছাড়াও আরও গ্রামে যত দেবী রয়েছেন, সকলকেই একসঙ্গে চতুর্দোলা করে লাইন দিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়।
শরদিন্দু ঘোষ