কথিত আছে, আড়াইশো বছর আগে বিদ্যাধরীর জলস্ফীতি হয়ে বন্যায় ভেসেছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সময় সুন্দরবনের জঙ্গলে বিদ্যাধরী নদীর পাশে এক সাধু বাবা জঙ্গলের মঙ্গলের জন্য তথা সুন্দরবনকে বাঁচাতে এই অরণ্য কালীর যজ্ঞ শুরু করেছিলেন। তারপর একটু একটু করে ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে একটি মন্দির। যা বর্তমানে অরণ্য কালীবাড়ি নামে পরিচিত। পরবর্তীতে এই পুজোর দায়িত্ব গ্রামেরই ভট্টাচার্য্য পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে গ্রামবাসীরা। তখন থেকেই ভট্টাচার্য্য পরিবার এই পুজোর দেখাশোনা করে আসছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পিছলে পড়ার ভয় থাকবে না, বাথরুমে এক জিনিসেই বাজিমাত! শুষে নেবে রেডিয়েশনও
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এখানকার মা কালী খুবই জাগ্রত, এক মনে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। আর তার জন্যই শক্তির আরাধনায় মেতে ওঠা। কথিত আছে একসময় শ্যামা পুজোর রাতে এই মন্দিরে আসত বাঘ। তাই যথা শীঘ্র মায়ের আরাধনা করেই যে যার বাড়ি ফিরে যেত বাঘের আতঙ্কে। আরওএকটি রীতি রয়েছে এই পুজোর । শ্যামা পুজোর দিন যে মূর্তি স্থাপিত হয় তার পুজো সারা বছর হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রথম সারির চাকরিপ্রার্থীরাই কাউন্সিলিংয়ে অনুপস্থিত! নিলেন না চাকরি
আবার ঠিক শ্যামা পূজার এক সপ্তাহ আগে বিসর্জন দেওয়া হয় সেই পুরনো প্রতিমার। এই এক সপ্তাহ ধরে চলে তামার ঘটে পুজো। তারপর আবার প্রতিষ্ঠিত হন নতুন কালী মুর্তি। আরাধনা শুরু হয় তারও। শ্যামা পুজোর দিন প্রতিবছর পুজোউপলক্ষে প্রচুর পাঠা বলি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফলও বলি দেওয়া হয়। খিচুড়ি ভোগ তৈরি হয়। পুজো উপলক্ষে এই কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে বহু দূর দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটে সুন্দরবনের এই খলিসাদি গ্রামে।
—— জুলফিকার মোল্যা





