বাংলার ১৩২৩ সালে দামোদর নদীর তীরে দেবীর এই প্রস্তর মূর্তি পাওয়া যায় (Bangla News)। সেই সময়ে দামোদরের তীরে-একটি পাথরে ধোপারা কাপড় কাচতেন। কমলানন্দ পরিব্রাজক নামে এক সাধক তখন কাঞ্চননগরে অবস্থান করছিলেন। তিনি মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী তিনি দামোদরের তীরে গিয়ে ধোপাদের কাপড় কাচার কাজে ব্যবহৃত পাথরটি উদ্ধার করেন। সেই পাথরই এই দেবী মূর্তি। পাথরের এই দেবী মূর্তি পেয়ে তিনি বর্ধমানের মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাবকে খবর দেন। রাজার উদ্যোগে এই মূর্তি কাঞ্চননগরের এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করা হয়। নবরত্ন মন্দির সে সময় কোনও বিগ্রহ ছিল না (Kali Puja 2021)। এই পাথরের কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠার দিন থেকে এখানে নিত্য পূজা শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নাম কালীর গ্রাম...গ্রামেই পূজিতা কালীর ৪ বোন, পুজো হয় ২০০-র বেশি
পাথরে খোদাই দেবী কঙ্কালের মতো দেখতে। নাম তাই কঙ্কালেশ্বরী কালী। দেবী এখানে অষ্টভূজা। শায়িত শিবের নাভি থেকে উৎপত্তি হয়েছে পদ্মের। সেই পদ্মার ওপর দেবী বিরাজমানা (Bangla News)। তার চালচিত্রে হাতি রয়েছে। চামুণ্ডা মতে পুজো হয় এখানে। তবে গোড়া থেকেই বলি প্রথা নেই।
পুরাতত্ত্ববিদদের মতে, এই মূর্তি বৌদ্ধ বা পাল যুগের। দুই হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন। বন্যায় নদীর স্রোতে ভেসে এসে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অবাক করার মত বিষয় হল, মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, সমস্ত শিরা-উপশিরা খোদাই করা রয়েছে প্রতিমার মধ্যে। সেসময় বিজ্ঞান যে কতটা উন্নত ছিল তা ভেবে চমৎকৃত হন বর্তমানে চিকিৎসকরা। বর্তমানে মন্দির ও তার আশপাশের সৌন্দর্যায়ন ঘটানো হয়েছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মন্দিরে আসেন।
Saradindu Ghosh
